Dharmendra Pradhan: ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ খালি নেই’, অমর্ত্য-মন্তব্যের জবাব দিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান
Dharmendra Pradhan counters Amartya Sen: ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনই বলেছেন অমর্ত্য সেন। নোবেলজয়ীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ধর্মেন্দ্র প্রধান বললেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ খালি নেই।
নয়া দিল্লি: ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ খালি নেই। রবিবার সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে বিজেপিই ক্ষমতায় ফিরবে। এর আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এমন দাবি করলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেছেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার কোনও জায়গা নেই। গত দুই মেয়াদেই ভারতের জনগণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর আস্থা রেখেছেন। ২০২৪-এও প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ।”
এর আগে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তবে, বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের হতাশাকে নিজের শক্তিতে পরিণত করতে পারবেন কি না, সেই বিষয়টা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে জানিয়েছিলেন নোবেলজয়ী। তিনি আরও বলেন, বিজেপি যদি মনে করে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তারা হাসতে হাসতে জিতবে, তাহলে ভুল করবে। কারণ, অমর্ত্য সেনের মতে, আসন্ন নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
অমর্ত্য সেনের এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়ার পরই এই নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিআইএম, কংগ্রেস – সব দলই অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “নিজের রাস্তা সাফ করছেন সবাই। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে সিট লাগে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে টাকার থলি নিয়ে ঘুরে ঘুরে একজনকেও জেতাতে পারলেন না। পঞ্চায়েতেও জেতাতে পারলেন না। অমর্ত্য সেনকে জিজ্ঞাসা করা উচিত। যারা দিদির পাশে ছিলেন তাঁরা আজ কেউই নেই। অমর্ত্য সেনদের পুরোনো অভ্যেস, মোদীকে সরিয়ে অন্য কাউকে বসাবেন। দিদিকে নিয়ে সেই স্বপ্নটা দেখছেন উনি।”
অন্যদিকে, সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “অমর্ত্য সেন যা বলেছেন, তার গুরুত্ব আছে। বিজেপির কাজ কঠিন হবে, ঠিক বলেছেন। আঞ্চলিক দলের ভূমিকা আছে, ঠিক বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন, এতে আর নতুন কী আছে। মোদী মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন না কেন? কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করে এগোতে পারবেন? পারবেন না। কারণ উনি বিরোধী ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছেন।” কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, “অমর্ত্য সেন কিছু বললে, সেটা তো আলোচনার বিষয়। একবার সুদীপ্ত সেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়ে দার্জিলিং-এর ডেলোয় মিটিং করেছিলেন। আপনি কলকাতা এসেছেন, একবার যারা বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী তাদের কাছে যান। এগুলো একতরফা হয়ে যাচ্ছে না?”