Odisha: একমাত্র পরিবার বলতে নাতিটাই! তাকেই বৃদ্ধা বিক্রি করল ২০০ টাকায়, কারণ জানেন?
Odisha: তাই ২০০ টাকার বিনিময়েই অজ্ঞাতপরিচয়ের এক দম্পতির হাতে একমাত্র নাতিকে তুলে দেয় সে। অন্তত একটা জীবন তো পাবে ছেলেটা। ঘটনা ওড়িশার বাদলিয়া গ্রামের।

ভুবনেশ্বর: স্বামী গত হয়েছে বহুকাল আগেই। করোনার সময় মারা গিয়েছে বৌমা। আর সেই দুঃখে পাগল হয়ে ঘরছাড়া একমাত্র ছেলে। পরিবার বলতে, তার কাছে রয়েছে শুধু নাতি। কিন্তু ৬৫-এর বৃদ্ধা সে। না আছে ঘর, না আছে দুয়ার। কীভাবেই বা বড় করবে নাতিকে? খাওয়াবেটাই বা কী? এখন ভিক্ষা করে চললেও, কত দিনই বা এই পৃথিবীতে রয়েছে সে? এমনই প্রশ্ন যেন সর্বদা বাসা বাঁধত বৃদ্ধার মনে।
তাই ২০০ টাকার বিনিময়েই অজ্ঞাতপরিচয়ের এক দম্পতির হাতে একমাত্র নাতিকে তুলে দেয় সে। অন্তত একটা জীবন তো পাবে ছেলেটা। ঘটনা ওড়িশার বাদলিয়া গ্রামের। বৃদ্ধার এমন কাজে শোরগোল পড়েছে এলাকা। শিশুকল্যাণ দফতরকে গিয়ে খবর দেয় গ্রামের এক পঞ্চায়েত সদস্য। তারপরেই অভিযানে নেমে সেই নাতিকে উদ্ধার করে আনে পুলিশ।
অভিযুক্ত এই বৃদ্ধার নাম মাঁদ সোরেন। কেন এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি, তা জিজ্ঞাসা করতেই মনে জমে থাকা ভয়ের পাহাড়কে উগরে দেন বৃদ্ধা। জানান, নাতির অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়েই এমন করেছেন তিনি।
কিন্তু কোনও সরকারি প্রকল্পের সাহায্য কেন নেননি তিনি? জানা গিয়েছে, সরকারি সাহায্য না মেলাতেই একমাত্র নাতির পেটে দু’টো ভাত জুগিয়ে দিতে পাশের গ্রামেই বোনের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন বৃদ্ধা। কিন্তু তাদের ঘাড়েও বোঝা হতে চাননি মাঁদ। তাই প্রতিদিন সকাল হলেই বেরিয়ে পড়তেন ভিক্ষা করতে। তবে মাস কয়েক ধরে সেটাও কার্যত বন্ধ হয়েছে। শরীর ভেঙে পড়ছে বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
এখন স্থানীয় শিশুসুরক্ষা কেন্দ্রেই রয়েছে সেই খুদেটি। খুব শীঘ্রই তাকে রেহাই দেওয়া হবে। পাশাপাশি, বৃদ্ধার জন্য পেনশন ও আবাসের ঘর জোগানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে শিশুকল্যাণ দফতর তরফে।





