‘এত মানুষের মৃত্যু আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে’, করোনা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন রাষ্ট্রপতি

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে করোনা অতিমারির কথা উল্লেখ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। 'এখনও করোনা অতিমারি শেষ হয়নি' বলে সতর্ক করলেন তিনি।

'এত মানুষের মৃত্যু আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে', করোনা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন রাষ্ট্রপতি
জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাষ্ট্রপতির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 8:03 PM

নয়া দিল্লি: ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের কথা উল্লেখ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ramnath Kovind)। শনিবার ভাষণ দিতে গিয়ে করোনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এত মৃত্যু আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। আমি মৃতদের পরিবারকে বলতে চাই যে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, করোনা অতিমারির কারণে গতবারের মতো এ বার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কোনও আড়ম্বর হবে না।

করোনা পরিস্থিতি (Pandamic) নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন রাষ্ট্রপতি। দেশবাসীকে কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, এখনও করোনা চলে যায়নি। ‘রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ভ্যাকসিনই করোনার বিরুদ্ধে সবথেকে বড় সুরক্ষা কবচ। অতিমারির অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়েছে যে সতর্কতা অবলম্বন করা কতটা জরুরি।’ তবে করোনার ভয় পুরোপুরি না কাটলেও আমরা যে দ্বিতীয় তরঙ্গের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছি, সে কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ, আর তার জন্য করোনার প্রথম সারির যোদ্ধাদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

প্রথম সারির যোদ্ধাদের প্রশংসা করে কোবিন্দ বলেন, ‘আমি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ও অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের সাধুবাদ জানাই। তাঁদের কঠোর পরিশ্রমই দেশকে সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই যোদ্ধাদের জন্যই যত প্রাণ হারিয়েছে, তার থেকে বেশি প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। সম্মিলিতভাবে গোটা দেশ করোনার এই তরঙ্গকে দুর্বল করতে পেরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দেশ জুড়ে চলা টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোবিন্দ জানান, ‘ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।’ তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি, প্রোটোকল মেনে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিন ও অন্যান্যদের নেওয়ার কথা বলুন।’ তিনি আরও জানান, অতিমারি শুধু মানুষের স্বাস্থ্য নয়, অর্থনীতির ওপরও ওপরও প্রভাব ফেলে। রাষ্ট্রপতি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘সরকার দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সমস্যার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবস্থা সম্পর্কেও সচেতন কেন্দ্র। আরও পড়ুন: অবসর নিতে বাধ্য হওয়া প্রাক্তন আইপিএস এবার যোগীর প্রতিপক্ষ, কে এই অমিতাভ ঠাকুর?