Food Price: উৎসবের মরসুমে ফের কি দাম বাড়বে খাদ্যপণ্যের?
Food Prices: উৎসবের মরসুমে কী প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম আরও বাড়বে? উদ্বেগ যাচ্ছে না সাধারণ মানুষের। গম, চাল, চিনি এবং ভোজ্য তেলের মতো পণ্যের যদি আরও দাম বাড়ে, নাড়ু, নিমকি, গজা তৈরি হবে কীকরে?
নয়া দিল্লি: দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো ভাইফোটা – উৎসবের শেষ নেই। আর উৎসব মানেই খাওয়া-দাওয়া। তবে, বাধ সেধেছে মূল্যবৃদ্ধি। গত কয়েক মাস ধরে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুঝতে যুঝতে ক্লান্ত মানুষ। উৎসবের মরসুমে কী প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম আরও বাড়বে? উদ্বেগ যাচ্ছে না সাধারণ মানুষের। গম, চাল, চিনি এবং ভোজ্য তেলের মতো পণ্যের যদি আরও দাম বাড়ে, নাড়ু, নিমকি, গজা তৈরি হবে কীকরে? তবে সুখবর দিয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর), খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া জানিয়েছেন, খাদ্যপণ্যের দাম এই সময়টায় স্থিতিশীলই থাকবে।
সঞ্জীব চোপড়া বলেছেন, “উৎসবের মরসুমে খাদ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে। উৎসবের মরসুমে কোনও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। আশা করছি, আগামী কয়েক মাস দাম স্থিতিশীলই থাকবে।” খাদ্য সচিব আরও জানিয়েছেন, খাদ্যপণ্যের মূল্যের যাতে স্থিতিশীল তাকে, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সঞ্জীব চোপড়া জানিয়েছেন, দাম স্থিতিশীল থাকাটা নিশ্চিত করতে, বাণিজ্য নীতি এবং স্টক লিমিটের নিয়ম বদলের মতো বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে, চিনি রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে কি হবে না, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। তার আগে, কত আখ উত্পাদন হয়েছে, তার হিসেব করবে কৃষি মন্ত্রক। এর আগে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সঞ্জীব চোপড়া জানিয়েছেন, ১ অক্টোবর চিনির স্টক ছিল ৫৭ লক্ষ টন। সরকার জানিয়েছে, উত্সব মরসুমে দেশীয় বাজারে যাতে চিনির দাম না বাড়ে, তাই চিনির রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।