Canada-India: প্রায় খালি নয়া দিল্লির কানাডা দূতাবাস, সরলেন কতজন কূটনীতিক?
Canada-India relation: কানাডাকে ভারতে তাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল নয়া দিল্লি। শুক্রবারের মধ্যে কানাডার ২১ জন কূটনীতিক এবং তাদের পরিবার ছাড়া বাকি সকলের কূটনৈতিক সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে। তবে, তার আগেই ৪১ জন কূটনীতিককে সরালো কানাডা।
মন্ট্রিল: ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করল কানাডা। কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। নিজ্জর হত্যার পিছনে ভারতীয় এজেন্টদের ভূমিক রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কানার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপরই, কানাডাকে ভারতে তাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল নয়া দিল্লি। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর), কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেছেন, “কানাডার ২১ জন কূটনীতিক এবং তাদের পরিবার ছাড়া বাকি সকলের কূটনৈতিক সুবিধা শুক্রবারের মধ্যে প্রত্যাহার করবে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। এর ফলে, অন্যান্য কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে অটোয়া। আমরা ভারত থেকে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে এসেছি। আমাদের কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন ভারত থেকে অন্যত্র চলে গিয়েছেন।”
জোলি আরও জানিয়েছেন, ৪১ জন কূটনীতিকের কূটনৈতিক সুবিধা প্রত্যাহার করা শুধু নজিরবিহীনই নয়, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থীও বটে। তবে, ভারতের এই পদক্ষেপের কোনও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ করবে না কানাডা বলে, জানিয়েছেন তিনি। দুই দেশের সম্পর্ক যাতে আরও খারাপ না হয়, তার চেষ্টা করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, “কানাডা আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা করে যাবে। সমস্ত দেশের জন্যই এই আইনগুলি প্রযোজ্য। ভারতও এর বাইরে নয়। আমাদের দুই দেশএর কূটনীতিকদের একে অপরের সঙ্গে কথা বলা দরকার।”
গত মাসে, কানাডিয়ান নাগরিক তথা খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার পিছনে ভারতীয় গুপ্তচরদের হাত আছে বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছিলেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নয়াদিল্লি সেই দাবি অস্বীকার করেছে। ট্রুডোর কাছ থেকে প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। তবে, এই গুরুতর দাবর সপক্ষে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দেননি। ফলে, বর্তমানে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। প্রসঙ্গত, খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মতোই হরদীপ সিং নিজ্জরও পৃথক খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবি জানাত। ভারতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযুক্ত ছিল সে। ভারত আগেই তাকে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাবুক্ত করেছিল। কানাডাকে একাধিকবার এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করারও অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। কিন্তু অটোয়া কিছুই করেনি।