India-Russia: ‘ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে…’, ট্রাম্পের শুল্কের ‘পাল্টা চাল’ কী হবে, বলে দিলেন পুতিনের রাষ্ট্রদূতই
India-Russia Relation: মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাব রাশিয়ার। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে আমেরিকায় রফতানি করতে যদি ভারতের সমস্যা হয়, তবে বিকল্প পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিল রাশিয়া।

নয়া দিল্লি: রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের উপরে অতিরিক্ত ট্যারিফ বসাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাব রাশিয়ার। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে আমেরিকায় রফতানি করতে যদি ভারতের সমস্যা হয়, তবে বিকল্প পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিল রাশিয়া।
বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রোমান বাবুশকিন বলেন, “যদি আমেরিকার মার্কেটে ঢুকতে সমস্যা হয়, তবে ভারত তার পণ্য রাশিয়ায় রফতানি করতে পারে।”
চলতি মাসের শুরুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপরে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দেন এই যুক্তিতে যে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কিনছে। নয়া দিল্লি আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলেই উল্লেখ করে।
এ দিন নয়া দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাশিয়ান ডেপুটি চিফ অব মিশন রোমান বাবুশকিন বলেন, “রাশিয়ার থেকে ক্রুড তেল কেনার জন্য ভারতের উপরে আমেরিকা যে চাপ সৃষ্টি করছে, তা অযৌক্তিক ও একপাক্ষিক। ভারতের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে আমাদের সম্পর্কের উপরে আস্থা আছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে বহিঃশক্তির চাপের পরও ভারত-রাশিয়ার শক্তি চুক্তি জারি থাকবে।”
তেল সরবরাহের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাশিয়া ভারতের বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী। ভারতের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। এটা দুই পক্ষের চাহিদা পূরণের উদাহরণ। আমাদের দুই দেশেরই অর্থনীতিতে উন্নতি হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে এই সহযোগিতা আগামিদিনেও থাকবে।”
ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, “যদি পশ্চিমি দুনিয়া তোমার সমালোচনা করে, তাহলে বুঝবেন ঠিক কাজ করেছেন। ভারত তেল কেনা বন্ধ করলে, তা সমানুপাতিক বাণিজ্য হবে না। ভারত আমাদের কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে, এটা আশা করি না। যাই-ই হোক, আমরা সব প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে একসঙ্গে এগোতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ যখন ভারতকে তাদের পণ্য আমেরিকার বদলে রাশিয়ায় পাঠাতে বলা হচ্ছে, ঠিক তার আগেই হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট স্বীকার করে নিয়েছেন যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্যই ভারতের উপরে অতিরিক্ত শুল্ক বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সম্প্রতিই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথোপকথন নিয়ে বাবুশকিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীজিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন ফোন করে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। এর অর্থ রাশিয়ার কাছে ভারত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পার্টনারশিপ আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমরা বহু বছর ধরে এই স্যাংশনের সমস্যা দেখছি। তবে আমাদের বাণিজ্য বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বাণিজ্য ৭ গুণ বেড়েছে।”

