Supreme Court: পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্ট বলল ‘ভুল ধারণা’
DY Chandrachud's appointment as next CJI challenged: ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। বুধবার (২ অক্টোবর), সেই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। বিচার বিভাগীয় আদেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং স্বার্থের সংঘাতের কারণে তাঁর প্রধান বিচারপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। বুধবার (২ অক্টোবর), সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে ওই আবেদন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
গত ১১ অক্টোবর, তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কেন্দ্রের কাছে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নাম সুপারিশ করেছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত। মুরসালিন আসজিথ শেখ নামে এক আইনজীবী বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে রশিদ খান পাঠান নামে জনৈক ব্যক্তি বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না করার আবেদন করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই আবেদনটি করা হয়েছিল।
আবেদনে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোভিড টিকা সংক্রান্ত এক মামলায় এক সিনিয়র আইনজীবী এবং এক জুনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে বিভেদমূলক আচরণ করেছিল বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগও করা হয়। একটি বিশেষ ছুটির আবেদনের বিষয়ে বম্বে হাইকোর্টের এক রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাটি শুনেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সেই মামলায় আইনজীবী হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন বিচারপতির নিজের ছেলে।
তবে এদিন আবেদনটিকে আমলই দেননি প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর এক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি জানান, আদৌ এই আবেদনের ভিত্তিতে কোনও মামলা দায়ের করা যায় কি না, তা যাচাই করার জন্যই আবেদনটি শোনা হচ্ছে। তবে, আবেদনের সমর্থনে কোনও প্রমাণাদি পেশ করতে পারেনি আবেদনকারী পক্ষ। শেষে বেঞ্চ বলে, “আমরা পুরো আবেদনটিই ভুল ধারণা বলে মনে করছি।”
শপথ গ্রহণের পর, পরবর্তী দুই বছরের জন্য প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। অযোধ্যার রাম জন্মভূমি বিতর্ক মামলা, শবরিমালা মন্দির মামলা, অনুচ্ছেদ ৩৭৭-কে নিরপরাধীকরণ করার মতো বহু যুগান্তকারী মামলার রায় দানকারী বেঞ্চের অংশ ছিলেন তিনি। সম্প্রতি অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার দান করার মতো এক চাঞ্চল্যকর মামলার রায়ও দিয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ।
১৯৯৮ সালে বম্বে হাইকোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে তাঁর পেশাদারি জীবন শুরু করেছিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ২০০০ সালে তিনি বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তারপর, ২০১৩ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে উন্নীত হন। ২০১৬ সালের ১৩ মে থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে আছেন। প্রসঙ্গত, তাঁর বাবা ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ও ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন।