Supreme Court: ‘প্যান্ডোরা বক্স’ খুলে যাবে, মহিলা রাজনীতিকদের POSH-র আওতায় ফেলতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court on Political Parties: এই রায়ের মাধ্য়মে দেশের এমন অনেক মহিলাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা সরাসরি কোনও সংস্থার সঙ্গে জড়িত নন, বরং সেখানে ফ্রিল্যান্সিং করেন। পাশাপাশি, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানকেও কর্মস্থানে যৌন হেনস্থা-বিরোধী আইন বা পশ আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর দেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত।

নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক দলগুলি কোনও অফিস নাকি? সোমবার একটি আবেদনের শুনানি চলাকালীন এমনই প্রশ্ন তুলল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি অতুল এস চন্দুরকরের বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট আবেদন শুনানি চলছিল। সেই সময়ই বিচারপতিদের প্রশ্ন, রাজনৈতিক দলগুলি কোনও অফিস নাকি যে সেগুলি কে পশ বা কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা-বিরোধী আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে? আর এই আইনের আওতায় আনা হলে দলগুলির ‘প্যান্ডোরা বক্স’ খুলে যাবে। অর্থাৎ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে বা অনুরূপ ঘটনা সামনে উঠে আসবে।
মামলার নেপথ্যে
২০২২ সালে রাজনৈতিক দল এবং অনুরূপ সংস্থাগুলির মধ্যে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠন করা যাবে না বলে রায় দিয়েছিল কেরল হাইকোর্ট। সেই রায়ে বিচারপতি যুক্তি দিয়েছিলেন, এগুলি সংগঠন, কোনও অফিস নয়। এখানে নিয়োগকর্তা বা কর্মী কোনওটাই নেই। তাই এগুলির অন্দরে কোনও আইসিসি বা অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠন করা যাবে না। সম্প্রতি, কেরল হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেন যোগমায়া এমজি নামে এক আইনজীবী।
ওই বিশেষ আবেদনে আইনজীবীর যুক্তি, এই রায়ের মাধ্য়মে দেশের এমন অনেক মহিলাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা সরাসরি কোনও সংস্থার সঙ্গে জড়িত নন, বরং সেখানে ফ্রিল্যান্সিং করেন। পাশাপাশি, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানকেও কর্মস্থানে যৌন হেনস্থা-বিরোধী আইন বা পশ আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর দেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসেও এই একই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তাতেও সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, রাজনৈতিক পরিসরে যৌন হেনস্থা-বিরোধী আইনের আওতায় আনতে রাজি নয় শীর্ষ আদালত।
