Supreme Court on CPIM: জমি নিয়ে যত বিবাদ! সিপিএম-র কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court Seeks CPIM Response: মামলাকারীর দাবি, কেরলের শাসকদল অর্থাৎ সিপিএম-র নতুন সদর দফতর তিরুবনন্তপুরমের যে জমির উপর তৈরি হয়েছে, তার মালিক তিনিই। আর তাঁকে তাঁর সম্পত্তি থেকে 'ষড়যন্ত্র করে' চ্যুত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে সম্পত্তির দাবিতে ওই মহিলা মামলা করেছেন, সেটি একটি নিলামী সম্পত্তি।

নয়াদিল্লি: বামেদের নোটিস ধরাল দেশের শীর্ষ আদালত। একটি জমি সংক্রান্ত মামলা সিপিএমের থেকে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আইন খবর পরিবেশনকারী সংবাদমাধ্যম লাইভ ল-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি মনমোহনের ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল মামলার শুনানি। সেখানেই মামলাকারীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে কেরলের শাসকদল সিপিএম-র থেকে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
মামলার নেপথ্যে
গোটা ঘটনার সূত্রপাত একটি নিলামী থেকে। যা ঘিরে দানা বাঁধে বিতর্ক। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই জমির দাবিতে কেরলের হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন ইসরোর এক বিজ্ঞানী। কিন্তু উচ্চ আদালত সকল সওয়াল-জবাব, যুক্তি-তর্কের পর তাঁর বিপক্ষে রায়দান করে। কেরল হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ওই ইসরোর বিজ্ঞানী দ্বারস্থ হন শীর্ষ আদালতে। একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেন তিনি। যা আপাতত শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলাকারীর দাবি, কেরলের শাসকদল অর্থাৎ সিপিএম-র নতুন সদর দফতর তিরুবনন্তপুরমের যে জমির উপর তৈরি হয়েছে, তার মালিক তিনিই। আর তাঁকে তাঁর সম্পত্তি থেকে ‘ষড়যন্ত্র করে’ চ্যুত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে সম্পত্তির দাবিতে ওই মহিলা মামলা করেছেন, সেটি একটি নিলামী সম্পত্তি। ঋণখেলাপির অভিযোগে একটি পরিবারের মোট ৬টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পরবর্তীতে সেই ৬টি সম্পত্তি আদালতের নির্দেশ মেনেই তোলা হয় নিলামীতে। ইসরোর ওই বিজ্ঞানীর দাবি, ৬টি সম্পত্তির মধ্যে সংশ্লিষ্ট জমিটির মালিক তিনি ছিলেন।
মামলাকারীর অভিযোগ, সেই নিলামীতেই গন্ডগোল রয়েছে। তা স্বচ্ছভাবে হয়নি বলেই উচ্চ আদালতে দাবি করেছিলেন তিনি। পাল্টা নিলামী থেকে সংশ্লিষ্ট জমিটি কেনা সিপিএম দাবি করেছিল, তারাই ওই জমির প্রকৃত ক্রেতা। আদালতের সমস্ত নির্দেশ মেনেই তারা সেই জমি কেনে। কিন্তু কেরল হাইকোর্ট সমস্ত সওয়াল-জবাবের পর ওই মামলাকারীর বিরুদ্ধেই রায়দান করে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মামলাকারী।
