Supreme Court on Waqf Law: কোনগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি বলা যাবে? বোর্ডেই বা থাকবেন কারা, আজ সুপ্রিম রায়
Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইন ও তা কার্যকর করার পদ্ধতি নিয়ে যে প্রশ্নগুলি উঠেছিল, আজ সেই বিষয়েই রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এরমধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হল, যে সমস্ত সম্পত্তিকে ইতিমধ্যেই ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করা হয়েছে আদালত বা জমির দলিলপত্রের মাধ্যমে, তা কি নতুন আইনের অধীনে 'ডি-নোটিফায়েড' করা যাবে?

নয়া দিল্লি: হাজারো বিতর্ক, আপত্তি। তারপরও সংসদে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ আইন। তবে সেই আইনের বৈধতা নিয়ে একাধিক মামলা জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা সেই সমস্ত পিটিশনেরই আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। ৪ মাস রায় স্থগিত রাখার পর, আজ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত।
আজ, ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের বেঞ্চেই রায়দান হবে। সব পক্ষেরই বক্তব্য শোনার পর গত ২২ মে অন্তর্বর্তী রায় স্থগিত বা রিজার্ভ রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
ওয়াকফ আইন ও তা কার্যকর করার পদ্ধতি নিয়ে যে প্রশ্নগুলি উঠেছিল, আজ সেই বিষয়েই রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এরমধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হল, যে সমস্ত সম্পত্তিকে ইতিমধ্যেই ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করা হয়েছে আদালত বা জমির দলিলপত্রের মাধ্যমে, তা কি নতুন আইনের অধীনে ‘ডি-নোটিফায়েড’ করা যাবে?
আরও একটি প্রশ্ন ছিল সম্পত্তির পর্যালোচনা এবং সেখানে জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়ে। সংশোধিত ওয়াকফ আইনে বলা হয়েছে, কোনও সম্পত্তিকে চাইলেই আর ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করা যাবে না। তা সরকারি সম্পত্তি কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই কাজ করবেন জেলাশাসক। যতক্ষণ এই তদন্ত ও পর্যালোচনা চলবে, ততক্ষণ তা ওয়াকফ সম্পত্তি বলে গণ্য করা হবে না।
তৃতীয় প্রশ্ন ছিল ওয়াকফ বোর্ড ও ওয়াকফ কাউন্সিল গঠন নিয়ে। আগে শুধু মুসলিমরাই ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য হতে পারতেন। তবে নতুন আইনের বিধানে অ-মুসলিম ও মহিলা প্রতিনিধিও রাখতে বলা হয়েছে। শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছিল যে আইনে কি শুধুমাত্র মুসলিমদেরই ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য হওয়ার অনুমতি দিয়েছে?
এআইএমআইএম সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি, দিল্লির বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খান থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও ইসলামিক সংগঠন মামলা করেছিল।
