‘বৃহত্তর ত্রিপরাল্যান্ডে’র ডাকে মিলল না সাড়া, মঞ্চেই কেঁদে ভাসালেন রাজ পরিবারের সদস্য

"বৃহত্তর ত্রিপরাল্যান্ড" গঠনের ডাকে যে জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাতে আইপিএফটি(IPFT) কর্মীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েও অংশগ্রহণ না করায় মঞ্চে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন প্রদ্যোৎ কিশোর দেব বর্মন (Pradyot Kishore Deb Barman)।

'বৃহত্তর ত্রিপরাল্যান্ডে'র ডাকে মিলল না সাড়া, মঞ্চেই কেঁদে ভাসালেন রাজ পরিবারের সদস্য
ছবি: সংগৃহীত।
Follow Us:
| Updated on: Mar 06, 2021 | 7:25 PM

আগরতলা: আশাতীত সমর্থন না পেয়ে জনসভার মঞ্চেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রাক্তন কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি তথা ত্রিপুরার রাজ পরিবারের উত্তরসূরী প্রদ্যোৎ কিশোর দেব বর্মন (Pradyot Kishore Deb Barman)। বললেন, পিঠে ছুরি মারলে যেমন আঘাত লাগে, তেমনই অনুভূতি হচ্ছে। “বৃহত্তর ত্রিপরাল্যান্ড” গঠনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু আদিবাসী পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা(Indigenous People’s Front of Tripura)-র মানুষ সেই মিছিলে যোগ না দেওয়ায় তাঁর মত, যদি ৭০ বছর পরও ত্রিপরাসা সংগঠন যদি একত্রিত না হতে পারে, তবে গোটা ত্রিপুরাই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

আদিবাসী আঞ্চলিক উন্নয়ন সংগঠনের প্রধান প্রদ্যোৎ দেব বর্মন বলেন, ” প্রায় ৭০ বছর আগে ত্রিপুরা যখন ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিল, সেইসময় তাঁরা যেমন একত্রিত ছিল, এখন যদি সেইরকমই ঐক্য না দেখানো হয়, তবে গোটা উপজাতিই অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে পড়বে।”

ত্রিপুরার আসন্ন উপজাতি অধ্যুষিত স্বশাসিত জেলা পরিষদের (TTAADC) নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে আইপিএফটি(IPFT)। তারাই হাত মিলিয়েছে আদিবাসী আঞ্চলিক উন্নয়ন সংগঠনের সঙ্গে। নতুন জোটের পরই প্রদ্যোৎ দেববর্মন বলেন, “আইপিএফটির সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে, তা মেনেই জোট এগিয়ে নিতে যাওয়া হবে এবং বৃহত্তর ত্রিপুরাল্যান্ড গড়ার ডাকে ইতিবাচক সাড়া মিলবে। এই বিষয়ে দলের সভাপতি এনসি দেব বর্মার সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে।”

আরও পড়ুন:২৭ বছর পর ‘ধর্ষিতা’ মাকে খুঁজে পেল ছেলে, সন্তানের অভয়েই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি(BJP)-র সঙ্গে জোট বাঁধার প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই নিয়ে বিজেপির সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। যদি একান্তই কথা বলতে হয়, তবে দিল্লি থেকে আমন্ত্রণ এলে তবেই তিনি বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বদের সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কোনও লাভ নেই, তাঁরা কেবল আসন বিভাজন নিয়েই আগ্রহী। বৃহত্তর ত্রিপরাল্যান্ড গঠনের ডাক কেবল নির্বাচনে সীমাবদ্ধ নয়, এর উদ্দেশ্য আরও গভীর।

অন্যদিকে, আইএনপিটি(INPT)-র সভাপতি বিজয় কুমার রাংখল জানান, আসন্ন নির্বাচনে সকল আঞ্চলিক দলগুলি যদি একত্রিত হয়ে লড়াই করে তবে কেন্দ্রের তরফে আরও আর্থিক অনুদান পাওয়া যাবে এবং এই অঞ্চলগুলির উন্নয়নে কাজ করা যাবে। তিনি জানান, আইপিএফটি এন সি দেব বর্মার সঙ্গেও কথা হয়েছে, প্রয়োজনে আমি আসন ছাতেও রাজি।

আরও পড়ুন: ‘পরীক্ষা, পাকড়াও, পরিচর্যা’, ৬ রাজ্যকে তিন ‘প’-এর দাওয়াই কেন্দ্রের