WITT: ‘আগে সীমান্তে নজরদারিতে গাফিলতি ছিল’, কেন জটিল চিন-ভারতের সম্পর্ক? বোঝালেন বিদেশমন্ত্রী
S Jaishankar: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চিনের সঙ্গে বিরোধ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, "প্রাথমিকভাবে, ১৯৯০-র চুক্তি অনুযায়ীই এলএসি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ২০২০ সালে চিন সেনা এগোনোর সিদ্ধান্ত নেয় কোনও কারণে। আমরাও পাল্টা জবাবে সেনা বাড়াই সীমান্তে। চিনের সঙ্গে এই বিরোধের প্রভাব রাজনৈতিক সম্পর্কেও পড়েছে।
নয়া দিল্লি: একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে চিন। পড়শি দেশ নিয়ে বরাবরই উপদ্রুত ভারত। সীমান্ত নিয়ে আগেও বিবাদ হয়েছে, ২০২০ সালে নতুন করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে বিবাদ শুরু হয় ভারতের। সেই বিবাদ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গড়ায়। বর্তমানে কীভাবে চিনকে সামলাচ্ছে ভারত, TV9 নেটওয়ার্কের “হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে”র মঞ্চে তা ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
ভারত-চিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের সম্পর্কের ওঠানামা হয়েছে, কিন্তু একটা স্থিতাবস্থাও রয়েছে। গত ২৫ বছরে দুই দেশেরই গ্লোবাল পাওয়ার হিসাবে উত্থান হয়েছে। চিনের অগ্রগতি আগে শুরু হয়েছে, আমাদের দেশে রাজনীতির কারণে উত্থান আটকে ছিল। দুই দেশই বিশ্বকে পরিবর্তন করছে। আমরা আবার পড়শিও। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সম্পর্ক জটিল।”
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চিনের সঙ্গে বিরোধ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিকভাবে, ১৯৯০-র চুক্তি অনুযায়ীই এলএসি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ২০২০ সালে চিন সেনা এগোনোর সিদ্ধান্ত নেয় কোনও কারণে। আমরাও পাল্টা জবাবে সেনা বাড়াই সীমান্তে। চিনের সঙ্গে এই বিরোধের প্রভাব রাজনৈতিক সম্পর্কেও পড়েছে। অর্থনৈতিক পদক্ষেপও নিতে হয়েছে আমাদের, কারণ আমাদের উপরে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছিল। আমরা নিজেদের ডিজিটাল ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হচ্ছে।”
কীভাবে মোদী সরকার সামরিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করেছে, তার উদাহরণ তুলে ধরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সাল অবধি চিন সীমান্তে গড়ে ৩৫০০ কোটি খরচ করা হত। এখন তা বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আগে সীমান্তে নজরদারিতে গাফিলতি ছিল।”