Reels in Courtroom: সাহস নাকি দুঃসাহস! কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বানাচ্ছেন রিলস গণধর্ষণ মামলায় ধৃত, শাস্তি দিলেন বিচারক
Man Makes Reels in Courtroom: গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত অভিযুক্তের 'সাহস' দেখে তাজ্জব হয়ে যান বিচারকও। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে বুঝতেই পেরেই সাফাই গাইতে শুরু করেন অভিযুক্ত। তিনি যুক্তি দেন, 'আমার ফোন নিজে নিজেই খুলে যায়। ভিডিয়ো রেকর্ড করতে শুরু করে দেয়।' কিন্তু আদালত চত্বরে কান্না জুড়েও লাভ হয় না।

লখনউ: রিলের নেশা। সেই নেশা এতই যে আদালত কক্ষেও দাঁড়িয়ে নিজেকে আটকাতে পারলেন না অভিযুক্ত। ঘটনা উত্তর প্রদেশের। রিলস বানাতে গিয়ে আদালত চত্বরেই হাতেনাতে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত। ধরলেন এক মোতায়েন থাকা পুলিশ। ‘অমার্জনীয় অপরাধের’ জন্য পেলেন শাস্তিও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার এক নাবালিকাকে অপহরণ এবং গণধর্ষণের মামলার (POCSO Case) শুনানি চলছিল উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh) এতহার বিশেষ পকসো আদালতে। হাজির করানো হয়েছিল ধৃত অভিযুক্তকেও। সে যখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে, ওই সময় বিনীত কুমার নামে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল লক্ষ্য করেন, পকেট থেকে মোবাইল বের করে চুপিসারে ভিডিয়ো করছেন অভিযুক্ত। শুধু ভিডিয়োই নয়, একেবারে রিলস বানিয়ে ছাড়ছেন নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলেও। তৎক্ষণাৎ অভিযুক্তের কীর্তি বিচারককে জানান ওই কনস্টেবল।
গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত অভিযুক্তের ‘সাহস’ দেখে তাজ্জব হয়ে যান বিচারকও। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে বুঝতেই পেরেই সাফাই গাইতে শুরু করেন অভিযুক্ত। তিনি যুক্তি দেন, ‘আমার ফোন নিজে নিজেই খুলে যায়। ভিডিয়ো রেকর্ড করতে শুরু করে দেয়।’ কিন্তু আদালত চত্বরে কান্না জুড়েও লাভ হয় না। অভিযুক্তের সমস্ত যুক্তি ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন বিচারক। সঙ্গে দিয়ে দেন কড়া নির্দেশ।
অভিযুক্তের মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি, আদালত চত্বরে মোবাইল ফোনে রিলস বানানোর অভিযোগে ১৫ দিনের জেল এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। পাশাপাশি, কেন এই দুঃসাহসিকতা অভিযুক্ত দেখিয়েছেন, সেই নিয়ে এক ঘণ্টার মধ্য়ে জবাব দিতেও বলা হয়েছিল তাঁকে।
