Shrimp Export Crisis: ট্রাম্পের কারণে মার খাচ্ছে চিংড়ির ব্যবসা! ২১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী
Naidu Seek Relief From US Tariffs: রবিবার রাতে নায়ডুর সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'মার্কিন শুল্কের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চিংড়ি রফতানি। কারণ, এই নোনা জলের খাদ্যপণ্যের উপর ৬০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে তারা। বাতিল হয়ে গিয়েছে অর্ধেকের বেশি অর্ডার। যার জেরে ২৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে বলেই আশঙ্কা।'

নয়াদিল্লি: মাছচাষে আর নেই আয়, শুধুই ক্ষতি। ট্রাম্পের কারণে ভুগছে ব্য়বসায়ীরা, সরব খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশের। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশের শাস্তিমূলক শুল্কের জেরে মার খাচ্ছে চিংড়ি রফতানির ব্যবসা। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর দাবি, এখনই না রোখা গেলে ২৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছেই সাহায্যপ্রার্থী হয়েছে এই দক্ষিণী রাজ্য। আবেদন জানিয়েছে, দেশের ব্যবসায়ীরদের স্বার্থে পদক্ষেপ নেওয়ার।
বলে রাখা প্রয়োজন, মাছ চাষ ও আহরণের নিরিখে দেশে এগিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ। একটি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, প্রতিবছর সে রাজ্যে সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ এবং কৃত্রিমভাবে তা চাষ করার মধ্য়ে দিয়ে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টনের অধিক মাছ বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ২০২২ সালেই দেশ ও বিদেশের বাজারে মোট ৫১ লক্ষ মেট্রিক টন মাছের জোগান দিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ।
এই লক্ষ লক্ষ মেট্রিক টন মাছের মধ্য়ে আবার ৮০ শতাংশ চিংড়ি ভারত থেকে রফতানি করা হয় বিদেশে। যার মধ্যে ৩৫ শতাংশ চলে যায় আমেরিকায়। বছর বছর ধরে এই করেই ২১ হাজার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত আয় হয়েছে অন্ধ্রের। কিন্তু ট্রাম্পের নয়া শাস্তি-শুল্কের জেরে সেই রফতানি কমে পড়ে গিয়েছে অর্ধেকে। যার জেরে পেটে টান পড়তে চলেছে লক্ষ লক্ষ পরিবারের।
রবিবার রাতে নায়ডুর সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন শুল্কের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চিংড়ি রফতানি। কারণ, এই নোনা জলের খাদ্যপণ্যের উপর ৬০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে তারা। বাতিল হয়ে গিয়েছে অর্ধেকের বেশি অর্ডার। যার জেরে ২৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে বলেই আশঙ্কা।’
তবে হাত গুটিয়ে বসেই নেই রাজ্য সরকার, তা বিজ্ঞপ্তিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন নায়ডু। ইতিমধ্য়েই সরকার তরফে চিংড়ি মাছের দাম কমানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজির নিরিখে ৯টাকা পর্যন্ত দাম কমিয়েছে তারা। চিংড়ি চাষের জন্য বিদ্যুৎ খরচেও ভর্তুকি বাড়িয়েছে। কিন্তু তারপরেও ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে একা হাতে ‘মোকবিলা’ করা সম্ভব হচ্ছে না বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের কাছে সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং মৎস্যমন্ত্রী রাজীবরঞ্জন সিংহকে চিঠি লিখেছেন নায়ডু। তাতে চিংড়ি উৎপাদনে জিএসটি ছাড়, চাষিদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ এবং ১০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
