‘যদি ভগবানকেও ডেকে আনতাম, তাহলেও…’, উপাচার্য নিয়োগ মামলায় বলল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগে আরও সময় চেয়েছেন রাজ্যপাল। শুনানি চলাকালীন এক আইনজীবী সিলেকশন কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই থামিয়ে দেন বিচারপতি সূর্য কান্ত।
নয়া দিল্লি: উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ করা নামেই শিলমোহর দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বাকিদেরও দ্রুত নিয়োগ করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। নামগুলিও দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চে ছিল শুনানি।
মোট ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। সুপ্রিম কোর্ট যে সিলেকশন কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল, সেই কমিটি অনুসারেই এগোচ্ছে পুরো প্রক্রিয়া। রাজ্যপালের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি জানিয়েছেন, তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক, তাহলেই ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা সম্ভব হবে। রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেন, একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হোক। এক সময় কেন লাগছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শুনানি চলাকালীন এক আইনজীবী সিলেকশন কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই থামিয়ে দেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। তিনি বলেন, “কমিটি বা প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও আবেদন করবেন না। আপনার যা বলার আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে পারেন। আমরা আর কোনও অভিযোগ শুনব না।” এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বলেন, “আমরা জানি, আমরা যদি ভগবানকেও ডেকে এনে সিলেকশন কমিশনের চেয়ারে বসাতাম, তাহলেও আপত্তি থাকত।”
উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে যায় সেই সংঘাত। এবার রাজ্যের পাঠানো নামেই সই করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নতুন করে সুর চড়ান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপরেই খবর যায় মমতার পাঠানো নামের তালিকায় সই করেছেন রাজ্যপাল।