Tata Steel : যুদ্ধের জের, রাশিয়ার সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে ব্যবসা বন্ধের পথে টাটা স্টিল
দ্বিতীয় ভারতীয় সংস্থা হিসাবে রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত ব্যবসায়িক গাঁটছড়া ছিন্ন করতে চলেছে টাটা স্টিল। এর আগে পুতিনের দেশে ব্যবসা বন্ধের কথা জানিয়েছিল ইনফোসিস।
নয়া দিল্লি : যুদ্ধ শুরুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় ২ মাসের বেশি সময়। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে ইউক্রেনের উপর ততই আগ্রাসন বাড়িয়েছে রাশিয়া (Russia)। এদিকে আগ্রাসী পুতিনের নিন্দায় সরব হয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলিকে। ইতিমধ্যেই রাশিয়ায় ব্যবসা পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে একাধিক মার্কিন সংস্থা। এরমাঝেই এবার বড় ঘোষণা করতে দেখা গেল টাটা স্টিলকে (Tata Steel)। এখন থেকে আর আর তারা মস্কোর সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এই খবর সামনে আসতেই ভারত তো বটেই তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে বিশ্ববাজারেও। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) আবহে ভারত শুরু থেকেই নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে চলেছে। এমনকী মস্কোর সমালোচনায় সরাসরি মাঠে নামতে দেখা যায়নি দিল্লিকে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কোনও ভারতীয় সংস্থার এই সিদ্ধান্ত বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করেছে টাটা স্টিল। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমানে রাশিয়ায় টাটা স্টিলের কোনও কাজ চলছে না। কোনও কর্মচারীও নেই। আমরা সচেতনভাবে রাশিয়ার সাথে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। অন্যদিকে যে কয়েকটি হাতেগোনা ভারতীয় সংস্থা রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের মধ্যে টাটা স্টিল ছাড়াও শুরুতেই রয়েছে ইনফোসিসের নাম। তারাও গত সপ্তাহে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই তারা সেদেশে আর কোনও ব্যবসা করতে চায়না। এদিকে ভারতে টাটা স্টিলের কাঁচামালের একটা বড় অংশ আসত রাশিয়া থেকে।
এমনকী নেদারল্যাল্ড ও ব্রিটেনেও টাটা স্টিলের কাঁচামালের জোগানের বড় অংশ নির্ভর করত রাশিয়ার উপর। এখন রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন বন্ধের জেরে এই ক্ষেত্রে ভিন্ন উপায়ে কাঁচামালের সংস্থানের কথা ভাবছে টাটা স্টিল। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। মারাত্মক প্রভাব পড়েছে ভারতেও। ইতিমধ্যেই ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ৮.২ শতাংশ শ্রীবৃদ্ধির পূর্বাভা দিয়েছে আইএমএফ। সেই কারণেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে শুধু ভারত নয়, যুদ্ধের জেরে বিশ্বের একটা বড় অংশের দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়েছে।
আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী! কোথায় হবে বৈঠক?