বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
বন্দে ভারতের সিট ফাঁকা
ট্রেনটিতে ১৬ টি স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি বগি রয়েছে। মোট আসন সংখ্যা ১১২৮। এই ট্রেনে সব চেয়ারই হল ঘূর্ণায়মান চেয়ার। মানুষ তাদের ইচ্ছা মতন বসতে পারবেন। এই আসনের সামনে থাকছে খাওয়ার টেবিল। সেটা ভাঁজ করে রাখা যাবে। অত্যাধুনিক সাসপেনশন সিস্টেম ব্যবহার করার ফলে, এই ট্রেনে ঝাঁকুনি একেবারে নেই। ফলে যাত্রীরা অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে এবং আরামদায়ক ভ্রমনের অভিজ্ঞতা পাবেন।
একটি বিশেষ ধরনের হাতুড়ি দেওয়া হচ্ছে। কোনও জরুরি অবস্থায় জন্য মানুষ সেই হাতুড়ির সাহায্যে জানলার কাচ ভেঙে বের হতে পারবেন। এই ট্রেনে cctv-র নজরদারি ব্যবস্থাও থাকবে।
এই ট্রেনের শৌচাগারও অন্যান্য ট্রেনের থেকে আলাদা। সোপ ডিস্পেন্সর, হ্যান্ড ড্রায়ার, হ্যান্ড শাওয়ার, টয়লেট পেপার, আধুনিক শৈলির ওয়াশিং বেসিনের মতো অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
আসনের সামনে থাকবে একটি এলইডি স্ক্রিন। সেই স্ক্রিনে, ট্রেন কত গতিতে চলছে, সামনে কোন স্টেশন আসছে - এই ধরনের তথ্য জানতে পারবেন যাত্রীরা।
এতে কোনও রান্নার জায়গা থাকবে না। বরং ট্রেনের প্যান্ট্রিতে খাবার এবং পানীয় গরম এবং ঠান্ডা রাখার জন্য উন্নত মানের হট কেস এবং ডিপ ফ্রিজ়ার রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী যাত্রীরা খাবার গরম করতে এবং পানীয় ঠান্ডা করতে পারবেন।
নীল-সাদা রঙের এই ট্রেনের ড্রাইভারের কেবিনটি তৈরি করা হয়েছে এরোডায়নামিক নকশা অনুযায়ী। এর ফলে, বাতাসের বাধা কাটিয়ে সামনে এগোনোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শক্তি সাশ্রয় হয়। প্রতিটি আসনের উপরে টাচ কন্ট্রোল-সহ এলইডি আলোর রিডিং লাইট দেওয়া হয়েছে।
লাগেজ রাখার জন্য প্রতিটি কোচে রয়েছে মড্যুলার র্যাক। এছাড়া প্রতিটি আসনের নীচে রয়েছে মোবাইল বা ল্যাপটপের চার্জিং পয়েন্ট। বাইরের শব্দ যাতে যাত্রীদের কানে না আসে, তার জন্য দুই কোচের মধ্যে বিশেষ সেন্সর ডোর দেওয়া হয়েছে।