Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aurangzeb’s tomb: সমাধিস্থলের জন্য খুলদাবাদকে কেন বেছেছিলেন ঔরঙ্গজেব? কেন চাকচিক্যহীন তাঁর সমাধি?

Aurangzeb's tomb: ঐতিহাসিকরা বলেন, সুফি সাধক শেখ জৈনউদ্দিন শিরাজি ছিলেন ঔরঙ্গজেবের আধ্যাত্মিক গুরু। খুলদাবাদে তাঁর দরগা রয়েছে। ঔরঙ্গজেব ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁকে যেন ওই দরগার আশপাশে সমাধি দেওয়া হয়।

Aurangzeb's tomb: সমাধিস্থলের জন্য খুলদাবাদকে কেন বেছেছিলেন ঔরঙ্গজেব? কেন চাকচিক্যহীন তাঁর সমাধি?
খুলদাবাদে ঔরঙ্গজেবের সমাধিস্থলImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 18, 2025 | 4:41 PM

নাগপুর: তিনি মুঘল সাম্রাজের ষষ্ঠ সম্রাট। ১৬৫৮ সালে সিংহাসনে বসেন। আর ১৭০৭ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত সম্রাট ছিলেন তিনি। তাঁর সময়েই মুঘল সাম্রাজ্য সবচেয়ে বেশি বিস্তার করেছিল। কিন্তু, সেই মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধিস্থল একেবারে সাদামাটা। কেন অন্য মুঘল সম্রাটদের মতো তাঁর সমাধিস্থল চাকচিক্য নয়? ঔরঙ্গজেবের সমাধিস্থল রয়েছে মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের খুলদাবাদে। ঔরঙ্গজেব নিজেই ইচ্ছাপ্রকাশ করে গিয়েছিল, তাঁকে যেন খুলদাবাদে সমাধিস্থ করা হয়। সমাধির জন্য কেন খুলদাবাদকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি?

ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র ঔরঙ্গজেব। মসনদে বসতে ভাইদের সঙ্গে লড়াই করেন। তাঁর তিন ভাইকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ঔরঙ্গজেব তাঁর বাবা শাহজাহানকে জেলে ভরেন। তবে তাঁর সময়ে মুঘল সাম্রাজ্য দ্রুত বিস্তার লাভ করে।

সমাধির জন্য কেন খুলদাবাদকে বেছে নেন ঔরঙ্গজেব?

এই খবরটিও পড়ুন

ঐতিহাসিকরা বলেন, সুফি সাধক শেখ জৈনউদ্দিন শিরাজি ছিলেন ঔরঙ্গজেবের আধ্যাত্মিক গুরু। খুলদাবাদে তাঁর দরগা রয়েছে। ঔরঙ্গজেব ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁকে যেন ওই দরগার আশপাশে সমাধি দেওয়া হয়। ১৭০৭ সালের ৩ মার্চ মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে (বর্তমানে আহিল্যনগর) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ঔরঙ্গজেব। তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে পুত্র আজম শাহ আহমেদনগর থেকে ঔরঙ্গজেবের মৃতদেহ খুলদাবাদে নিয়ে আসেন। সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।

ঔরঙ্গজেবের সমাধিস্থল কেন চাকচিক্যহীন?

৪৯ বছর মুঘল সম্রাট ছিলেন ঔরঙ্গজেব। তাঁর সময়ে মুঘল সাম্রাজ্য সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করেছিল। অথচ তাঁর সমাধিস্থল কেন চাকচিক্যহীন? ইতিহাসবিদরা বলছেন, তিনি চেয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের মতো তাঁর সমাধি দেওয়া হোক। মাটি চাপা দিয়ে কবরের উপর সাদা কাপড়ের আস্তরণ দেওয়া হোক। সমাধিস্থলে কোনও চাকচিক্য চাননি তিনি। বলা হয় যে, ১৭০৭ সালে ঔরঙ্গজেবের সমাধির জন্য খরচ হয়েছিল ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা। শেষ বয়সে নিজের সমাধিস্থলের জন্য টুপি সেলাই করে টাকা সঞ্চয় করেছিলেন তিনি। হাতে লিখে কোরানের বইও বিক্রি করতেন। ঔরঙ্গজেবের সাধারণ এই সমাধিক্ষেত্র ইংরেজ শাসনকালে লর্ড কার্জন মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে দেন।