Ashwini LLTR: পাক-চিনের ‘চুপিসারে’ নজরদারি বন্ধ! টহল দিতে সীমান্তে নামছে অশ্বিনী
Ashwini LLTR: সময়ের সঙ্গে এখন অত্যন্ত আধুনিক হয়ে উঠেছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সব দেশই এখন শিখে গিয়েছে ড্রোন উড়িয়ে হামলা। চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সেনার কাছে আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘনের একটা ভাল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই ড্রোন।

নয়াদিল্লি: ভারতের মাথায়, কোলে, এমনকি নীচে বসে শত্রু। বলা চলে, ভারত যেন একেবার শত্রুদের করিডরে ঢুকে পড়েছে। একদিকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, যখন তখন পাঠাচ্ছে জঙ্গি। অন্যদিকে, নিজেদের সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে নিজেদের বায়ু ও নৌসেনাকে আরও মজবুত করছে চিন। আর এই সকল শত্রুগুলোর মাঝে তো কার্যত ‘চিরশত্রু’ হয়ে বসে রয়েছে পাকিস্তান। ফাঁক তালেই চালায় আক্রমণ।
সময়ের সঙ্গে এখন অত্যন্ত আধুনিক হয়ে উঠেছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সব দেশই এখন শিখে গিয়েছে ড্রোন উড়িয়ে হামলা। চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সেনার কাছে আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘনের একটা ভাল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই ড্রোন। এমনকি, বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকেই ‘চিকেনস নেকের’ আশে পাশে বহু শত্রু ড্রোনের হদিশ পেয়েছে ভারতীয় সেনা। আকারে ছোট হওয়ায় অনেক সময়ই সেনা-জওয়ানদের নজর এড়িয়ে যায় এই ড্রোনগুলি। আর সেই সমস্যার সমাধানে আসরে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

অশ্বিনী
ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানাগুলিকে আরও মজবুত করতে গত বুধবার ভারত ইলেকট্রনিক লিমিটেডের সঙ্গে সহস্র কোটি টাকার একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, মোট ২ হাজার ৯০৬ কোটি টাকার বিনিময়ে দেশের অন্যতম প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান BEL-এর থেকে মোট ১৮টি লো-লেভেল ট্রান্সপোর্টেবল ব়্যাডার্স (LLTR) কিনতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
কী এই LLTR?
এটি একটি বায়ু প্রতিরক্ষা সিস্টেম। যা অল্প উচ্চতায় ওড়া যে কোনও বিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রকে শনাক্ত করতে পারে। সাধারণ সীমানা এলাকায় সেনার কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালাতেই ড্রোনের ব্যবহার করে থাকে শত্রুরাষ্ট্ররা। আর সেই বিষয়টিকে মাত দিতেই এই নতুন LLTR আনতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই LLTR-টির নাম দেওয়া অশ্বিনী। যা অনায়াসে নিচু দিয়ে ওড়া ড্রোন, বিমান, ক্ষেপণাস্ত সাত থেকে আট কিলোমিটার দূর থেকে চিহ্নিত করতে পারবে। যার মাধ্যমে আগাম সর্তক হয়ে যাবে সেনা।





