Anurag Thakur: কুস্তি ফেডারেশনের মহিলা প্রধান চাই, অনুরাগ ঠাকুরের কাছে ৫ দাবি বজরং-সাক্ষীদের
Wrestlers Protest: বুধবার (৭ জুন) কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করলেন আন্দোলনরত কুস্তিগিররা। মন্ত্রীর কাছে তাঁরা পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কী সেই ৫ দাবি?
নয়া দিল্লি: বুধবার (৭ জুন) কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করলেন আন্দোলনরত কুস্তিগিররা। মন্ত্রীর কাছে তাঁরা পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কুস্তিগিরদের সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনার জন্য, মঙ্গলবার গভীর রাতে টুইট করে তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। সেই আমন্ত্রণ স্বীকার করে, এদিন সকালে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিক-সহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কুস্তিগির। হরিয়ানার বলালি গ্রামে আয়োজিত এক পঞ্চায়েতে যোগ দেওয়ার কথা থাকায়, আসতে পারেননি প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের অন্যতম বিশিষ্ট মুখ ভিনেশ ফোগট। এর আগে শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কুস্তিগিররা। অর্থাৎ, গত পাঁচ দিনে এই নিয়ে কেন্দ্রের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন কুস্তিগিররা।
সূত্রের খবর, এদিন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন-সহ মোট পাঁচটি দাবি করছেন। তাঁরা চাইছেন, কুস্তি ফেডারেশনের মাথায় একজন মহিলাকে বসানো হোক। তারা আরও দাবি জানিয়েছেন, ব্রিজভূষণ শরণ সিং বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য কুস্তি ফেডারেশনের কোনও পদে আসীন হতে পারবে না। এছাড়া, গত মাসে ভারতের নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ যে মামলা করেছিল, সেই যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করার দাবিও জানিয়েছেন বজরং পুনিয়া-সাক্ষী মালিকরা। এই দাবিগুলির পাশাপাশি, এদিন ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে ফের একবার ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এক নাবালিকা-সহ সাত মহিলা কুস্তিগির ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা বেজে ৪৭ মিনিটে একটি টুইট করে অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, “সরকার কুস্তিগীরদের সঙ্গে তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। আমি ফের কুস্তিগীরদের বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” এরপরই এদিন সকালে নয়া দিল্লিতে ক্রীড়ামন্ত্রী সরকারি বাসভবনে উপস্থিত হন কুস্তিগিররা। সেই জানুয়ারি মাস থেকেই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কুস্তিগিররা। পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে না চাওয়ায় তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। পাশাপাশি, ২৩ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান শুরু করেছিলেন। ২৮ মে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন, অনুমতি ছাড়াই নয়া সংসদ ভবনের উদ্দেশ্যে মিছিল করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং আটক করে। বেশ কয়েকজন কুস্তিগিরের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। এরপর অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলার পর, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা তাঁদের রেলের কাজে যোগ দেন। তবে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরছেন না তাঁরা।
সূত্রের খবর, কুস্তিগিরদের অধিকাংশ দাবিই মেনে নিতে ইচ্ছুক সরকার। শুধুমাত্র, ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিয়ে খচখচানি থেকে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্চের নির্দেশে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবারই তাঁর উত্তর প্রদেশের গোন্ডার বাড়িতে হানা দিয়েছিল দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল। বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়। গত সপ্তাহে দিল্লি পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছিল, ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার মতো উপযুক্ত প্রমাণ এখনও তাদের কাছে নেই।