Murder: মায়ের উপর অত্যাচারের বদলা, বাবা-ঠাকুরদাকে খুন করে জেলে ছেলে

Noida: বাবার লাম্পট্য বেড়েই চলেছিল। সম্প্রতি বাড়ি থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি। ডিভোর্স ফাইলও করেন। এই সমস্ত কিছু মুখ বুজে মেনে নিচ্ছিলেন মা। কিন্তু, দিনের পর দিন চোখের সামনে মায়ের এই অপমান, মায়ের চোখের জল আর সহ্য করতে পারছিলেন না যুবক ছেলে।

Murder: মায়ের উপর অত্যাচারের বদলা, বাবা-ঠাকুরদাকে খুন করে জেলে ছেলে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2023 | 9:14 PM

নয়ডা: কারণে-অকারণে রাতদিন মা-কে অত্যাচার করতেন বাবা। দিন-দিন যেন বাবার লাম্পট্য বেড়েই চলেছিল। সম্প্রতি বাড়ি থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি। ডিভোর্স ফাইলও করেন। এই সমস্ত কিছু মুখ বুজে মেনে নিচ্ছিলেন মা। কিন্তু, দিনের পর দিন চোখের সামনে মায়ের এই অপমান, মায়ের চোখের জল আর সহ্য করতে পারছিলেন না যুবক ছেলে। তাই রাগের বশে কুঠার দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করলেন তিনি। তাঁর ক্রোধ থেকে নিস্তার পাননি ঠাকুরদাও। ঘটনার পর অপরাধের কথা স্বীকারও করেছেন ২১ বছর বয়সি ওই যুবক। বর্তমানে তাঁর ঠাঁই হয়েছে গারদের ওপারে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায়।

পুলিশ জানায়, ধৃত যুবকের নাম জসমিন। গ্রেটার নয়ডার ডানকাউর এলাকার বাসিন্দা জাসমিন তাঁর বাবা বিক্রমজিৎ রাও ও ঠাকুরদা রামকুমারকে কুপিয়ে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। একটি নির্মীয়মাণ স্টুডিয়োর ভিতর ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁদের উপর জসমিন হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে গত ৭ সেপ্টেম্বর। ডানকাফরের বাল্লপু খেরা গ্রামে বাড়ির অদূরে একটি স্টুডিয়ো তৈরি করছিলেন বিক্রমজিৎ রাও। সেখানেই তিনি রাতে ঘুমোতে যেতেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতেও তিনি সেখানে ঘুমোচ্ছিলেন। রামকুমার রাও সেখানেই ছিলেন। বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেই সেই রাতে জসমিন কুঠার নিয়ে স্টুডিয়োয় যান। ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশকে জসমিন জানিয়েছেন, তিনি মাঝরাতে ওই নির্মীয়মাণ স্টুডিয়োয় গিয়ে ঘুমন্ত বিক্রমজিতের উপর অতর্কিতে হামলা চালান। বাবার মুখে, ঘাড়ে, মাথায় কুঠারের কোপ দেন। তাঁর আর্ত চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে পড়েন ঠাকুরগা রামকুমার। তিনি বাধা দিতে গেলে জসমিন কুঠার দিয়ে তাঁর উপরেও হামলা চালান। তারপর রামকুমারকে পালিয়ে যেতে দেখে তাঁকে লক্ষ্য করে হাতুড়ি ছোড়েন জসমিন। এরপরই রক্তে ভেসে যায় গোটা স্টুডিয়ো। তারপর তিনি পাঁচিল টপকে বাড়ি পালিয়ে আসেন।

জসমিন প্রথমে ঘটনার কথা কাউকে জানাননি। বাড়িতে এসে রক্তাক্ত জামা-কাপড় ধুয়ে তিনি শুয়ে পড়েন। কিন্তু, ঘটনাটি চাপা থাকেনি। তদন্তে নেমে পুলিশ অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির পর অপরাধের কথা স্বীকার করেন জসমিন। গ্রেটার নয়ডার ডিসিপি অশোক কুমার জানান, অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং কুঠারটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।