Cyber Crime: ‘ফ্রান্স থেকে বলছি…’, ফোন তুললেই ‘ফাঁকা’ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! কলকাতায় নতুন প্রতারণা ফাঁদ
Cyber Crime: কীভাবে প্রতারণা চালাত এই অস্ট্রেলিয়ান নামধারীরা? গোয়েন্দাদের দাবি, এদের টার্গেট কখনওই ভারতীয়রা ছিল না। একবারে বেশি টাকা হাতাতেই অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলত তারা। আর সেই কাজেই তাদের ব্রহ্মাস্ত্র হত ওই অস্ট্রেলিয়ান নাম।

কলকাতা: ২০২২ সাল থেকেই তলে তলে চলছিল প্রতারকদের অপারেশন। অবশেষে ধরা পড়ল ২০২৫ সালে। সোমবার লেকটাউন থানার দক্ষিণদাড়ি এলাকায় একটি ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের হাতেনাতে পাকড়াও করল ওয়েস্ট বেঙ্গল সাইবার ক্রাইম উইংয়ের গোয়েন্দারা।
বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, মোবাইল-সহ কিছু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে গোয়েন্দারা। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে দু’টি রেজিস্টার। যার মধ্যে লেখা রয়েছে বেশ কিছু অস্ট্রেলিয়ান নাম। তবে কি কলকাতার বুকে বাসা বেঁধেছিল অস্ট্রেলিয়ান প্রতারকদের দল?
পুলিশ সূত্রে খবর, সেদিন অভিযান চালিয়ে মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই ভারতীয় নাগরিক। ওই রেজিস্টারে দেওয়া অস্ট্রেলিয়ান নামগুলি ব্যবহার করেই বিদেশি নাগরিকদেরকে সাইবার প্রতারণার ফাঁদে ফেলত তারা। লুটে নিত লক্ষ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পাকড়াও হওয়া ২১ জনের মধ্যে ১৭ জন অভিযুক্তকে আদালতে তুলেছে পুলিশ। বাকি চারজনকে আপাতত রাখা হয়েছে পুলিশ হেফাজতেই।

ধৃতরা
কীভাবে প্রতারণা চালাত এই অস্ট্রেলিয়ান নামধারীরা? গোয়েন্দাদের দাবি, এদের টার্গেট কখনওই ভারতীয়রা ছিল না। একবারে বেশি টাকা হাতাতেই অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলত তারা। আর সেই কাজেই তাদের ব্রহ্মাস্ত্র হত ওই অস্ট্রেলিয়ান নাম।
প্রথমে অস্ট্রেলিয়ান কোনও নাগরিককে লেকটাউনের চার কামরার অফিস থেকে বসে ফোন করত তারা। বিদেশের ভূমে ফোন করার জন্য ইন্টারনেট ভয়েস কলিং (VoIP) ব্যবহার করত এই প্রতারকরা। এমনকি, এই কাজে তারা ব্যবহার করত ফিনল্যান্ড বা ফ্রান্সের IP অ্যাডড্রেস। যার জন্য যারা প্রতারকদের ফোন তারা ধরতে পারতেন না যে ফোনটা ভারত থেকে এসেছে।
এরপর লেকটাউন থেকে ছদ্মবেশী অস্ট্রেলিয়ান নাম ব্যবহার করে ফোনে গ্রাহকদের বিশ্বাস জয়। তারপর সেই কল ট্রান্সফার হয়ে যেত টালিগঞ্জের আরও একটি কল সেন্টারে। সেই খানেই নানা ধরনের পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় হাতিয়ে নেওয়া হত হাজার হাজার টাকা।





