Abhishek Banerjee: ‘তৃণমূল চেয়েছিল কথা হোক…’, অধীরকে একহাত নিলেন অভিষেক
Abhishek Banerjee: এবার বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুঝিয়ে দিলেন, আসন বোঝাপড়া নিয়ে তৃণমূলের সদিচ্ছা থাকলেও কংগ্রেসই আলোচনায় আসেনি। সরাসরি নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও।
কলকাতা: ইন্ডিয়া জোটের প্রাদেশিক সমীকরণ ঘিরে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আগেই বলে দিয়েছেন, বাংলায় তাঁর দল একাই লড়বে। জাতীয় রাজনীতিতে সমীকরণ কী হবে, তা নির্বাচনের পর স্থির করা হবে। আর এবার বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুঝিয়ে দিলেন, আসন বোঝাপড়া নিয়ে তৃণমূলের সদিচ্ছা থাকলেও কংগ্রেসই আলোচনায় আসেনি। সরাসরি নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও।
এদিন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের উন্নয়নের কাজকর্ম নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অভিষেক বললেন, “(ইন্ডিয়া জোটের) শেষ বৈঠক যখন হল, তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনারা (কংগ্রেস) সিদ্ধান্ত নিন। তারা নেয়নি। কোনও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি। যদি কেউ (আলোচনা) করতে না চায়, তাহলে তো আমি কিছু বলতে পারি না।”
একই সঙ্গে অভিষেক এও বুঝিয়ে দিলেন, বাংলায় আসন বোঝাপড়া না হলেও তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেই রয়েছে। বললেন, “আমাদের দলের যা অবস্থা, যদি সিট শেয়ারিং নাও হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন করি। আমরা ইন্ডিয়া জোটে রয়েছি।” এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সংযোজন, ‘সিট শেয়ারিং হয়নি। কার জন্য হয়নি সেটা মানুষ দেখুক। আমরা তো চেয়েছিলাম, সিট শেয়ারিং নিয়ে কথা হোক।’
ইন্ডিয়া জোটের পথে বাংলায় যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব, সেকথাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক। সরাসরি নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অভিষেক বললেন, “প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করা দরকার। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে কার হাত শক্তিশালী হবে? বিজেপির না তৃণমূলের? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি যখন বিজেপির লাভের কথা বলছেন, তখন বিজেপির ট্রোজান হর্স কে? আপনি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। আবার বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে, আমার বিরুদ্ধে লড়ুক। আমরা একটাও কথা বলেছি ছয় মাস? মানুষ দেখুক, মানুষ ঠিক করুক।”