সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি, বাংলার জন্য বাড়ছে বিপদ! কোন আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস
Weather Update: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস, তাতে গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বাংলার বিপদ বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আদতে বৃষ্টি তো শুধুমাত্র বাংলায় হচ্ছে না, বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবেশী রাজ্যেও। ঠিক যেমন ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় জল বাড়ছে একাধিক নদীতে।
কলকাতা: দিন-রাত যেভাবে ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে, তাতে বাংলার বৃষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়েছে অনেকটাই। একদিকে কৃষকদের উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, অন্যদিকে ইলিশের বাজারেও বেড়েছে জোগান। এরই মধ্যে বিপদের বার্তা দিচ্ছে হাওয়া অফিস। মূলত গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়াতেই এভাবে থেকে থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। রাস্তাঘাটে জল জমতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। একাধিক জেলায় সেতু বা রাস্তা জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গিয়েছে। তবে আরও বেশি বৃষ্টি হলে কী হবে?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস, তাতে গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বাংলার বিপদ বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আদতে বৃষ্টি তো শুধুমাত্র বাংলায় হচ্ছে না, বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবেশী রাজ্যেও। ঠিক যেমন ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় জল বাড়ছে একাধিক নদীতে। ফলে বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে একাধিক জায়গায়। জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। জানা গিয়েছে, ২৪ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। জল ছাড়তে পারে গালুডি ও মশানজোড় জলাধারও। আর ঝাড়খণ্ডের জলে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সংলগ্ন জেলাগুলিতে। এছাড়া উদ্বেগ রয়েছে সিকিম ও ভুটান নিয়েও। ওই এলাকাগুলিতে বৃষ্টি হলে ভাসতে পারে উত্তরবঙ্গ।
সদ্য ওয়েনাডে যে বিপর্যয় ঘটেছে,তাতে প্রায় ৩০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। জল-কাদা সরালেই উঠে আসছে মৃতদেহ। কার্যত শ্মশানপুরীতে পরিণত হয়েছে কেরলের ওই উপত্যকা। এবার বাংলাতেও সেই আশঙ্কা দেখছেন অনেকে। বিশেষ পাহাড়ি নদীতে জল বাড়লে কী হতে পারে, তার সাক্ষী তিস্তাপারের বাসিন্দারা। তাই প্রশাসন আগাম সতর্কতা নেবে, এমনটাই আশা বাংলার মানুষের।