Kalyan Banerjee on Waqf Amendment Bill: ‘ওয়াকফ আল্লাহর সম্পত্তি’, রাজ্যের ক্ষমতা কাড়তে চাইছে কেন্দ্র, বিস্ফোরক কল্যাণ
Waqf Amendment Bill: এই বিলকে অসাংবিধানিক বলে কল্যাণ বলেন, "এই বিলের উদ্দেশ্যই হল মুসলিমদের সেই অধিকার খর্ব করা, তাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালনে হস্তক্ষেপ করা।"

নয়া দিল্লি: ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে সংসদে সুর চড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন লোকসভায় কেন্দ্রের আনা ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে বলেন, “ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার। সংশোধনী বিলে রাজ্যের ক্ষমতাও খর্ব করা হয়েছে। এই বিল অসাংবিধানিক।”
এ দিন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওয়াকফ ধর্মীয় ও দানধ্যানের জন্য প্রতিষ্ঠান। মুসলিমদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে নিজেদের সম্পত্তি ও অধিকার নিয়ন্ত্রণ করার। ওয়াকফ সম্পত্তি আল্লাহর সম্পত্তি। তাদের সম্পত্তি অধিগ্রহণের অধিকারও রয়েছে।”
#WATCH | “On behalf of AITC, under the leadership of Mamata Banerjee, I strongly oppose the Bill in its entirety. The spirit of my speech is ‘Tu Hindu banega na Musalman banega. Insaan ki aulaad hai insaan banega’…” says TMC MP Kalyan Banerjee on the Waqf Amendment Bill tabled… pic.twitter.com/j37WDsjC21
— ANI (@ANI) April 2, 2025
ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনায় এই সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় এক পঙ্ক্তি বলেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আমি এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছি। আমার বক্তব্যের সূত্র ধরেই বলছি, তু হিন্দু বানেগা না মুসলমান বানেগা, ইনসান কি ওউলাদ হ্যায়, ইনসান বানেগা।”
এই বিলকে অসাংবিধানিক বলে কল্যাণ বলেন, “এই বিলের উদ্দেশ্যই হল মুসলিমদের সেই অধিকার খর্ব করা, তাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালনে হস্তক্ষেপ করা। এটা সংবিধানের ২৬ ধারার সরাসরি লঙ্ঘন। ২৪৬ ধারার সাব আর্টিকেল ১ – অধীনে সংসদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে। আর্টিকেল ৩-র অধীনে রাজ্যেরও ক্ষমতা রয়েছে আইন প্রণয়নের। রাজ্যের অধীনে থাকা ওয়াকফ জমি নিয়ন্ত্রণের অধিকার একমাত্র রাজ্যেরই রয়েছে। কেন্দ্র এই সংশোধনীর মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তিতে রাজ্যের অধিকার খর্ব করতে চাইছে। রাজ্যের অধিকার সংকুচিত করতে চাইছে। এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। রাজ্যের ক্ষমতা কাড়া যায় না।”
ভারতী তীর্থ বনাম বুলসানি আইয়ার মামলার উদাহরণ টেনে ওই মামলায় সম্পত্তির অধিকার নিয়ে কী রায় দেওয়া হয়েছিল, তাও উল্লেখ করেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “যখন সরাসরি দেবতা বা মন্দিরে সম্পত্তি দান করা হয়, তা ট্রাস্টেরই হয়। একইভাবে মুসলিম আইনে ইসলামের সম্পত্তিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। এই সম্পত্তির অধিকার তাদের দেবতার। এটা ধর্মীয় বিষয়। এটা সংবিধানের ২৬ ধারার অধীনে আসে। ওয়াকফ সম্পত্তির মালিক বোর্ডের কর্তা হয় না।”
তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আড়ালে কেন্দ্র বিভিন্ন সম্প্রদায়কে বিভক্ত করতে চাইছে। যদি ওরা একতা চাইত, তাহলে বিলে কেন ভাগাভাগির চেষ্টার কথা বলা হয়েছে? সম্প্রদায়ের উপর ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে শ্রেণিবিভাগ শাসক দলের খারাপ উদ্দেশ্যকেই ইঙ্গিত করে।”





