Dankuni: সামনেই নির্বাচন, ডানকুনির টোল প্লাজায় ‘স্বামী-স্ত্রীর’ ব্যাগ থেকে উদ্ধার ৪০ টি পিস্তল
Arms Recover: বন্দুক পাচার করা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে আগ্নেয়াস্ত্রের পার্টস (যন্ত্রাংশ) আলাদা করে রাখে পাচারকারীরা।
কলকাতা: স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে কলকাতাগামী একটি বাসে উঠেছিল তারা। সঙ্গে ছিল একটি লাগেজ ব্যাগ। কিন্তু কে জানত ওই লাগেজ ব্যাগের ভিতর ছিল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। হাতেনাতে পাচারকারীরা ধরা পড়ল বেঙ্গল এসটিএফ এর কাছে।
সোমবার ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে বেঙ্গল এসএসটিএফ (STF)। জানা গিয়েছে, ধানবাদ (Dhanbad) থেকে কলকাতায় (Kolkata) একটি বাস আসছিল। সেই বাসেই ওঠে তিন অস্ত্রপাচারকারী। এদের মধ্যে একজন স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাসে ওঠে। তাদের সঙ্গে ছিল একটি লাগেজ ব্যাগ (bag)। অস্ত্র পাচারের তথ্য আগের থেকেই ছিল বেঙ্গল এসটিএফ-এর কাছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ডানকুনি টোল প্লাজার (Dankuni) কাছে বাসটি দাঁড় করায় তাঁরা। শুরু হয় তল্লাশি। সেই তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় অস্ত্র। লাগেজ ব্যাগ থেকে ৪০ টি ৭ এমএম ও ৯ এমএম পিস্তলের যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়।
পুলিশ মনে করছে, বন্দুক পাচার করা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে আগ্নেয়াস্ত্রের পার্টস (যন্ত্রাংশ) আলাদা করে রাখে পাচারকারীরা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই সব অস্ত্র আসছিল বিহারের মুঙ্গের থেকে। তবে এই পাচারকারীদের মূল চক্রী কে তা এখনও জানা যায়নি। সামনেই রাজ্যে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আর তার আগে বড়সড় সাফল্য পেল বেঙ্গল এসটিএফ। তবে এই বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার স্বাভাবিক ভাবে চিন্তায় ফেলেছে পুলিশকে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে রাজ্যে ভোট চলাকালীনও একই ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। একজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সেই সময় জানা যায় এসটিএফ ও সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ডাকবাংলো পাকুর সড়কে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির সরঞ্জাম। গ্রেফতার করা হয় টেম্পু মণ্ডল (৩৮)কে। পুলিশ সূত্রে খবর, টেম্পু বিহারের বাসিন্দা। মুঙ্গেরের শাকহারাটোলায় তাঁর বাড়ি। তাঁর কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, কার্তুজ ও প্রচুর বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয়।
এরপর ভোট মিটতেই ফের বরাকরে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নামে এসটিএফ । কুলটি থানার বরাকরের বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় ২৫ টি ৭ এমএম পিস্তল ও ৪৬ টি ম্যাগাজিন-সহ আস মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ঝাড়খণ্ড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পাচারের অভিযোগে ধৃত মহম্মদ ওরফে বাবলুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরে যান তদন্তকারীরা। দলে ৫ জন ছিলেন। বরাকর ফাঁড়িতে রিমান্ডে থাকা আস মহম্মদ ওরফে বাবলুকে জেরা করা হয়। পাশাপাশি, যে জায়গা থেকে তাকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেখানেও এসটিএফের দলটি যায়।
আরও পড়ুন: Viral Video: আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে উঠলো বানর, তারপর কী করলো সে তা দেখে অবাক নেট দুনিয়া…