Bangladesh-Pakistan: নিজেদের বিজয় দিবসকেই এবার ‘খাটো’ করতে চাইছে বাংলাদেশ? পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা?

Bangladesh-Pakistan: ঢাকার একাধিক সরকারি সূত্র বলছে, কীভাবে আওয়ামী লিগ সভা এভাবে সভা করতে পারল তা নিয়ে সরকারের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। গোয়েন্দা ব্যর্থতার দিকেও আঙুল তুলেছেন অনেকেই উপদেষ্টাই। শেখ হাসিনার দলের আচমকা রাজপথে গর্জন নিয়ে প্রশাসনের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামির আমির শফিকুল রহমান।

Bangladesh-Pakistan: নিজেদের বিজয় দিবসকেই এবার 'খাটো' করতে চাইছে বাংলাদেশ? পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা?
হাসিনার বিদায়ের পর। PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2024 | 11:56 AM

কলকাতা: সোমবার মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫৪তম বর্ষ পালন করতে চলেছে বাংলাদেশ। তার আগে শুক্রবার রাত থেকে দেশের নানা প্রান্তে সভা-সমাবেশ করল আওয়ামী লিগ। ঢাকা-সহ দেশের সব বড় শহরে একাধিক সভা হয়। কোথাও কোথাও পুলিশ ও সেনা এসে বাধা দিলেও বেশিরভাগ জায়গায় তা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কয়েকদিন আগেও আওয়ামী লিগের সভা-সমাবেশে হামলা করেছে পথচলতি মানুষ। অথচ, শুক্রবারের বিভিন্ন সভা- সমাবেশে ভিড় করেছেন তাঁদের অনেকেই। শুনেছেন আওয়ামী লিগের স্থানীয় নেতাদের কথা।

ঢাকার একাধিক সরকারি সূত্র বলছে, কীভাবে আওয়ামী লিগ সভা এভাবে সভা করতে পারল তা নিয়ে সরকারের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। গোয়েন্দা ব্যর্থতার দিকেও আঙুল তুলেছেন অনেকেই উপদেষ্টাই। শেখ হাসিনার দলের আচমকা রাজপথে গর্জন নিয়ে প্রশাসনের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামির আমির শফিকুল রহমান। তাঁর মতে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লিগকে রাজনীতিতে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিছু লোক আওয়ামী লিগ বিরোধী মুখোশ পরে হাসিনার দলের হয়ে কাজ করছে। 

আওয়ামী লিগ সূত্রে খবর, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে দল একাধিক সভা-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউনুস সরকার দিনটির গুরুত্ব খাটো করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। রাজনীতির বাইরে থাকা মানুষও এতে বিরক্ত। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসাবে মানতেও আপত্তি করেছে ইউনুস সরকার। তাতেও বিরক্ত বাংলাদেশের বহু মানুষই। আওয়ামী লিগ দেশবাসীর এই আবেগকে মর্যাদা দিতেই ঝুঁকি নিয়ে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর।

এই খবরটিও পড়ুন

শোনা যাচ্ছে, সরকারের ভয়ে স্থানীয় মিডিয়া আওয়ামী লিগের এই কর্মসূচি সে অর্থে সামনে নিয়ে আসছে না। ইউনূস সরকার এবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের যুক্তি, সেনা বাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত বলে কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় দেশবাসী। অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানের প্রতি সখ্যের বার্তা দিতেই ইউনূস সরকার কুচকাওয়াজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর হল পাকিস্তানের জন্য এক চরম অস্বস্তিকর দিন। ১৯৭১ সালের ওই দিন ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক সেনা বাহিনী।

একমাত্র করোনার বছরগুলি বাদে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কখনও বন্ধ থাকেনি বাংলাদেশে।দিনটি ভারতীয় সেনা বাহিনীও বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে। কলকাতায় ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠানো নিয়ে শুরুতে গড়িমসি করেছে ইউনূস সরকার। ভারতের বিদেশ সচিবের ঢাকা সফরের পর সিদ্ধান্ত বদলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর সূত্রের খবর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কলকাতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে।