AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dilip Ghosh: ‘খগেন-শঙ্করদের উপর হামলা চালিয়েছে বাংলাদেশি রোহিঙ্গারা’, বিস্ফোরক দিলীপ

Bangladeshi Rohingya: দিলীপ বলছেন আক্রমণকারীরা যে রোহিঙ্গা তাতে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত। বলছেন, “যে লোকগুলি মেরেছে ভিডিয়ো দেখে তাঁদের ধরুন দেখা যাবে সব ক’টা বাংলাদেশ থেকে আগত। সবাই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তাঁদেরকে এই কাজে ব্যবহার করছে তৃণমূল।”

Dilip Ghosh: ‘খগেন-শঙ্করদের উপর হামলা চালিয়েছে বাংলাদেশি রোহিঙ্গারা’, বিস্ফোরক দিলীপ
আর কী বলছে দিলীপ? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2025 | 3:58 PM
Share

কলকাতা: নাগরাকাটায় দুর্গতদের দেখতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল  বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় খগেন মুর্মুকে। এদিন তাঁকে দেখতেও যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরইমধ্যে আবার বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের উপর আক্রমণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। তাঁর দাবি, তৃণমূল বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। তিনি বলছেন, “বন্যা দুর্গতদের দেখতে আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। ত্রাণ দিচ্ছিলেন। ফের পথে কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের গাড়ি আটকায়। সবই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। তাঁদের তৃণমূল ওখানে বসিয়েছে।” 

দিলীপ বলছেন তাঁরা যে রোহিঙ্গা সে বিষয়ে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত। বলছেন, “যে লোকগুলি মেরেছে ভিডিয়ো দেখে তাঁদের ধরুন, দেখা যাবে সব ক’টা বাংলাদেশ থেকে আগত। সবাই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তাঁদেরকে এই কাজে ব্যবহার করছে তৃণমূল।” এদিকে নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে সোমবার থেকেই তপ্ত হয়ে রয়েছে বঙ্গের রাজনীতির আঙিনা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকেও। উত্তরবঙ্গের অবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারেরও তুলোধনা করেন। সুর চড়িয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। 

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, কেউ যদি মনে করে থাকে কোনও সাংসদকে আক্রমণ করে, রক্তাক্ত করে, ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে বিজেপিকে ভয় দেখানো যাবে তাহলে ভুল করছেন তাঁরা। কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “যাঁরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন দরকারে তাঁদের পাতাল থেকে খুঁজে বের করে আনবে সরকার। আনা হবে আইনি ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই।” অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী আবার রাজ্য সরকারের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর সাফ কথা, “জনতার কাছে আর মিডিয়ার কাছে ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জন্য একটা ছোট ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হৃদয় দিয়ে যেটা করা দরকার, সেই সেবার কাজ রাজ্য সরকার করছে না।”