AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bibhash Adhikari: বিভাসের ‘সাম্রাজ্য’-র নয়া ‘কীর্তি’, আশ্রমেই চলত ‘বিচার’

Bibhash Adhikari: তদন্তে উঠে এসেছে, জমি সমস্যা মেটাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে 'নোটিস' পাঠাত বিভাসের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব সোশ্যাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস। এই সংস্থার নামের সঙ্গেই ইন্টারপোলের লোগো ও ভুয়ো থানার লোগো দিয়ে অফিস খোলা হয়েছিল বেলেঘাটায়।

Bibhash Adhikari: বিভাসের 'সাম্রাজ্য'-র নয়া 'কীর্তি', আশ্রমেই চলত 'বিচার'
বিভাস অধিকারী (ফাইল ফোটো)Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2025 | 10:10 AM
Share

কলকাতা: গত বছর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর তাঁর দাপট সামনে এসেছিল। তারপর এক বছর তেমনভাবে তাঁর নাম শোনা যায়নি। কিন্তু, নয়ডায় ভুয়ো-থানা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরই তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর একের পর এক ‘কীর্তি’ সামনে আসছে। তাঁর ‘সাম্রাজ্য’-র খবরের হদিশ পেয়ে থ হয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরাও। এবার সামনে এল বিভাসের ‘আদালত’-র কথা।

বিভাস নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি। সেই নলহাটিতে রয়েছে বিভাসের আশ্রম। সেই আশ্রমকে ঢাল করে জমি হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এবার নয়ডা পুলিশের হাতে এসেছে বিভাসের কারবারের প্রামাণ্য নথি। এই আশ্রমেই সালিশি সভা বসাতেন তিনি। যেখানে তিনিই ওসি। তিনিই বিচারক।

কী হত এই সালিশি সভায়?

তদন্তে উঠে এসেছে, জমি সমস্যা মেটাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে ‘নোটিস’ পাঠাত বিভাসের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব সোশ্যাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস। এই সংস্থার নামের সঙ্গেই ইন্টারপোলের লোগো ও ভুয়ো থানার লোগো দিয়ে অফিস খোলা হয়েছিল বেলেঘাটায়। প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেতা দেবাশিস ধর এখানেই পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

পৈতৃক জমি সংক্রান্ত সমস্যার বিচারের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে তলব করা হত। তবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিসে নয়, ডাক পড়ত নলহাটিতে বিভাসের আশ্রমে। ঠিক যেভাবে কোনও তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের স্বার্থে কাউকে তলব করে, সেভাবেই সব নথি-সহ তলব করা হত। হাজিরা এড়ালে পাল্টা মামলা করার হুশিয়ারি দেওয়া হত চিঠিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি সমস্যার সমাধানের নামে আসলে টাকা হাতানো উদ্দেশ্য ছিল বিভাসের। তাছাড়া ভয় দেখিয়ে জমি দখল করে নিতেন বলেও দাবি স্থানীয়দের। প্রশ্ন উঠছে, আদালত থাকতে পৈতৃক জমি নিয়ে বিবাদ মেটাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কেন হস্তক্ষেপ করত? যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চিঠি পাঠাত, তার দফতরে না ডেকে কেন আশ্রমে বসত সালিশি সভা? সবদিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।