BLO News: ‘কাজ করার পরও কেন স্কুলের খাতায় গরহাজির?’ নজরুলমঞ্চে ট্রেনিংয়ের সময় প্রশ্ন তুললেন BLO-রা
একজন শিক্ষিকা তথা বিএলও বলেন, "আমাদের বলে দিয়েছে যদি অন ডিউটি কাগজ না দেখাই তাহলে যতই বিএলও করি বা যাই কাজ করি না কেন আমায় অনুপস্থিত করে দেবে। আমার সিএল শেষ, এই সব কাজ কেন মেডিক্যাল নিয়ে করব বলুন তো? স্কুল অথারিটি আমাদের কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না।"

বস্তুত, SIR শুরুর আগে আজ অর্থাৎ শনিবার চূড়ান্ত ট্রেনিং ছিল বিএলও-দের। কমিশনের সঙ্গে কলকাতা সহ জেলার একাধিক জায়গায় সকাল দশটা থেকে শুরু হয়েছে এই ট্রেনিং। বাড়িতে গিয়ে এসআইআর-এর কাজের আগে তাঁদের এ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিতেই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল কমিশন। এ দিন সেখান থেকেই একাংশ বিএলও বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আজ একাধিক দাবি ছিল বিএলও দের। তিন দফা জানান তাঁরা।
কী কী সেই দাবি?
দাবি ১: SIR এর সময় স্কুলে যেতে না পারলেও খাতায় হাজিরা দেখাতে হবে
দাবি ২: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে হবে
দাবি ৩: বড় বুথে দুজন বিএলও রাখতে হবে।
গতকালও বিএলও-দের পক্ষ থেকে তাঁদের সুরক্ষা চেয়ে কমিশনকে চিঠি লিখেছে ‘ভোট কর্মী ঐক্য মঞ্চ’। তবে CEO দফতর থেকে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে লিখিত কিছু নির্দেশ দেয়নি বলে খবর। এরই মধ্যে আজ এই বিশৃঙ্খলা নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ।
একজন শিক্ষিকা তথা বিএলও বলেন, “আমাদের বলে দিয়েছে যদি অন ডিউটি কাগজ না দেখাই তাহলে যতই বিএলও করি বা যাই কাজ করি না কেন আমায় অনুপস্থিত করে দেবে। আমার সিএল শেষ, এই সব কাজ কেন মেডিক্যাল নিয়ে করব বলুন তো? স্কুল অথারিটি আমাদের কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না। আমরা যদি কোনও রকম অর্ডার কপি না দেখাতে পারি কোনও স্কুল অথারিটি আমায় অন ডিউটি দেবে না। আমাদের যাঁদের দূরের স্কুল তাঁরা আট ঘণ্টা ডিউটি করে এসে কখন এই সব কাজ করব?” আরও একজন শিক্ষিকা এবং বিএলও বলেন, “আমার তো মর্নিং স্কুল। তারপর পুরো সময়টা পড়ানোর পর এখন BLO-র কাজ। মানে ২৪ ঘণ্টা আমরা খালি এই সব করব?”
এ দিকে, আজ বিএলওরা যখন প্রশ্ন তুললেন, কেন তাঁদের অন ডিউটি দেখানো হবে না? সেই বিষয়টি নিয়ে কমিশন কোনও উত্তর দেয়নি। পরে প্রশিক্ষণ প্রায় ভেস্টে যায়।
