Buses for Municipal Election: আগের ভোটের ৯ লাখ টাকা এখনও বকেয়া, পৌর নির্বাচনের জন্য বাস দেবেন না মালিকরা
Buses for Election Duty: এখনও পর্যন্ত মোট প্রাপ্য টাকার ৮০ শতাংশ টাকাই পেয়েছেন তাঁরা। বাকি ২০ শতাংশ টাকা এখনও বকেয়া। আর সেই না পাওয়া অর্থের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা।
কলকাতা: আসন্ন পৌরভোটের জন্য বাস দেওয়া সম্ভব নয়। সিটি সাবআরবান বাস সার্ভিসের তরফে আজ এমনটাই জানানো হয়েছে। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ বাস দেওয়া হয়েছি, তার পুরো টাকা এখনও পাননি তাঁরা। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাস মালিকরা।
উল্লেখ্য, আজ আলিপুর আরটিও অফিসে বাস মালিকদের সংগঠন সিটি সাব আরবান বাস সার্ভিসেসের সঙ্গে আলিপুর আরটিও আধিকারিকদের একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে বাস মালিকরা সিটি সাবআরবান বাস সার্ভিসেসের তরফ থেকে জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন পৌর ভোটে তাদের পক্ষে বাস দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এর আগে বিধানসভা ভোটের সময় তাদের থেকে ৩৭৩ টি বাস নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট প্রাপ্য টাকার ৮০ শতাংশ টাকাই পেয়েছেন তাঁরা। বাকি ২০ শতাংশ টাকা এখনও বকেয়া। আর সেই না পাওয়া অর্থের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা।
এই পরিস্থিতিতে আবারও তাঁদের থেকে আসন্ন পুরসভা ভোটে ৬০০ টি বাস চাওয়া হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। কিন্তু বাস মালিকদের বক্তব্য, তাঁরা যদি আগের বকেয়া টাকা না পান, তাহলে তারা এই ভোটে বাস দিতে পারবেন না। এই নিয়েই তাঁরা আজ আরটিও সঙ্গে আলিপুর আরটিও অফিসের একটি বৈঠক করেন। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তাঁদের বকেয়া টাকা না পেলে তাঁরা এই ভোটে বাস দেবেন না।
উল্লেখ্য, প্রত্যেকবারই ভোটের সময় দিন কয়েকের জন্য বাসের দরকার হয় নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনই বাস ভাড়ায় নেয়। এই ভাড়া নেওয়া বাসগুলিতে চেপেই বুথে বুথে পৌঁছে যান ভোটকর্মীরা। শুধু ভোটকর্মীরাই নন, অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তারক্ষীদেরও বাসে বাসে চাপিয়েই নির্দিষ্ট বুথেগুলিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এর পাশাপাশি, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যাবতীয় সরঞ্জাম… সে সবও রয়েছে। সবই বাসে করেই বুথে বুথে পৌঁছে দেয় কমিশন।
কিন্তু এবারে বেঁকে বসেছেন বাস মালিকরা। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও অনেকগুলি মাস কেটে গিয়েছে। অথচ ‘হকের’ টাকা এখনও পাননি বাস মালিকরা। বিধানসভা ভোটের সময় প্রচুর সংখ্যায় বাস রুট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও প্রাপ্য টাকার ২০ শতাংশ বকেয়া রয়ে গিয়েছে।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমলেও, সেই যন্ত্রণা থেকে এখনও মুক্তি পাননি আমজনতা। এদিকে বাসের ভাড়াও বাড়ানোয় সায় দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বাস নামাতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন বাস মালিকরা। তার উপর আগের ভোটের টাকা বাকি। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সাফ কথা, আগের নির্বাচনের সময় ভাড়া নেওয়া বাসের বকেয়া টাকা হাতে না পেলে, নতুন করে আর বাস দেবেন তা তাঁরা।
আরও পড়ুন : Corona Update: ফের ৭০০ পার! উদ্বেগ বাড়িয়ে আবারও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা