Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: বিচারককে হেনস্থায় ৬ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব, বসিরহাট আদালতের এপিপি-কে ভর্ৎসনা বিচারপতির

Calcutta High Court: বিচারককে হেনস্থার ঘটনায় ওই ছয় আইনজীবী হলফনামায় দাবি করেছেন, ভাল পরিবার থেকে তাঁরা এসেছেন। অথচ ২০১২ সালেও একই ঘটনায় তাঁদের নামে অভিযোগ আসে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসাকের। তাঁর মন্তব্য, ওই আদালতের যেটুকু সামনে এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

Calcutta High Court: বিচারককে হেনস্থায় ৬ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব, বসিরহাট আদালতের এপিপি-কে ভর্ৎসনা বিচারপতির
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: Getty Images
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2025 | 5:30 PM

কলকাতা: বসিরহাট আদালতে বিচারককে হেনস্থার ঘটনায় আগামিকাল (১৮ মার্চ) ছয় আইনজীবীকে ডেকে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে’র ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১২ সালে আদালতে কাজ বন্ধের জন্য ফৌজদারি মামলা দায়ের হয় ওই ছয় আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এদিন বসিরহাট আদালতের এপিপি(অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর)-কে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তিনি মন্তব্য করেন, আদালতে সিজ ওয়ার্ক হলেই কাজ বন্ধ রাখতে হবে? রাজ্য এমন একজন এপিপি(অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর)-র জন্য কেন খরচ করবে, সেই প্রশ্নও করেন তিনি।

বিচারককে হেনস্থার ঘটনায় ওই ছয় আইনজীবী হলফনামায় দাবি করেছেন, ভাল পরিবার থেকে তাঁরা এসেছেন। অথচ ২০১২ সালেও একই ঘটনায় তাঁদের নামে অভিযোগ আসে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসাকের। তাঁর মন্তব্য, ওই আদালতের যেটুকু সামনে এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

এদিন আদালতে টিভি চ্যানেলের ভিডিয়ো চালানো হয়। সেখানে দেখা যায় দু’জন ইন্টারভিউ দিয়ে বিচারকের বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে একজন বারের সেক্রেটারি। বিচারপতি বসাক অডিয়ো শোনান ভরা আদালতে। ওই দুই আইনজীবীকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

এই খবরটিও পড়ুন

একটি পকসো মামলায় নিম্ন আদালতে সওয়াল পর্বে অংশগ্রহণ করেননি এপিপি। ফলে পকসো মামলায় জামিন হয়ে গিয়েছে অভিযুক্তের। বসিরহাট আদালতের এপিপি গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, আদালতে সিজ ওয়ার্ক চলছিল। তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। বিচারপতি বসাক বলেন, তাঁকে বলতে হবে, কে কে বাধা দিয়েছেন। এপিপি-র আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, তাঁর মক্কেলকে যেতে না দিলে তিনি কী করবেন? এমন সিজ ওয়ার্ক হাইকোর্টেও হয়। ইচ্ছে থাকলেও আসা যায় না।

বিচারপতি বসাকের পর্যবেক্ষণ, “আমরা জীবনে এগুলো দেখেছি। গালিগালাজ শুনেছি। কিন্তু নিজের নীতি থাকা উচিত। উনি এপিপি এটা মনে রাখতে হবে। রাজ্য খরচ করে কেন এমন এপিপি রাখবে?” বিচারককে হেনস্থা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, এরা তো কাউকেই ভয় পায় না। ১৮ মার্চ ছয় আইনজীবীকে হাইকোর্টে আসতে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।