Physical Harassment : কোনও হাসপাতাল ধর্ষণের উল্লেখ করেনি, গাংনাপুরের নির্যাতিতার দেহ ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: এবার নদিয়ায় গাংনাপুরের গণধর্ষণের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।

Physical Harassment : কোনও হাসপাতাল ধর্ষণের উল্লেখ করেনি, গাংনাপুরের নির্যাতিতার দেহ ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2022 | 3:34 PM

কলকাতা : রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের (Physical Harassment) ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়ছে রাজ্যের। হাঁসখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়াও বেশ কিছু ঘটনায় তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে আইপিএস দময়ন্তী সেনকে। এবার নদিয়ায় গাংনাপুরের গণধর্ষণের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। অভিযোগ, গাংনাপুরের ধর্ষিতাকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। ৬ মার্চ তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর নির্যাতিত ১৪ মার্চ পর্যন্ত বেঁচেছিল। গাংনাপুরের ঘটনাতেও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, গাংনাপুর পুলিশ থানা অভিযোগ নিতে চায়নি।

গাংনাপুরের ওই নির্যাতিতার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সন্তানকে নিয়ে গাংনাপুরের বাড়িতে থাকতেন ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ। অভিযোগ, ৬ মার্চ রাতে বাড়িতে ঢুকে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর তাঁকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। গণধর্ষণের খবর নির্যাতিতার বাপের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছলে, তাঁরা তড়িঘড়ি এসে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, তারপর সেখান থেকে একটি নার্সিংহোম এবং শেষে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। যমে মানুষে লড়াইয়ের পর ১৪ মার্চ হাসপাতালেই মারা যান ওই নির্যাতিতা।

এদিকে নির্যাতিতার মায়ের বক্তব্য, তিনি গাংনাপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও সেখানে কোনও অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এরপর তিনি থানায় চিঠি লিখেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় মৃত ধর্ষিতার মা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়াতেই অবশ্য পুলিশের তরফে তৎপরতা দেখা যায়। এফআইআর দায়ের করা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ওই গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে মৃতার দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি গাংনাপুরের ওই ঘটনার কেস ডায়েরিও তলব করেছে হাইকোর্ট। এদিকে মঙ্গলবার আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, গাংনাপুরের ওই ঘটনায় ধর্ষনের কথা কোনও হাসপাতাল বলেনি। মা নিজেই বলেছিলেন, কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তবে, ৬ মার্চ ঘটনার পর কেন আট দিন পরে এফআইয়ার নেওয়া হল, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠে আসছে।

আরও পড়ুন : Eastern Zonal council meeting : মাথাচাড়া দিচ্ছে মাওবাদীরা? চার রাজ্যের শীর্ষ আমলাদের নিয়ে বৈঠক নবান্নে

আরও পড়ুন : Bus Service: অফিস টাইমেই ‘উধাও’ সরকারি বাস! কলকাতার রাস্তায় বাসের সংখ্যা শুনলে ভিরমি খাবেন নিত্যযাত্রীরা