Calcutta High Court: এবার স্বাস্থ্যেও নিয়োগ দুর্নীতি? অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিশন গড়ে দিল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: কমিটিতে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব নরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Calcutta High Court: এবার স্বাস্থ্যেও নিয়োগ দুর্নীতি? অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিশন গড়ে দিল হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 10:11 PM

কলকাতা : শিক্ষার পর এবার স্বাস্থ্যেও দুর্নীতি? আবারও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করল আদালত। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্ত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কমিটিতে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব নরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে চাকরিরত ব্যক্তিদের ভাগ্য।

মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বজনপোষণ, পক্ষপাতিত্ব এবং এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জ্বলন্ত উদাহরণ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু কিছু ব্যক্তিদের বেছে বেছে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা ব্লু – আইড হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কোনভাবেই কোন ব্যক্তির অসংবিধানিক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সত্য খুঁজে বার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উল্লেখ্য, এর আগে গ্রুপ ডি মামলায় বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গড়ে দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

২০১৮ সালে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের ৭২৫ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। ২০১৯ সালে নথি যাচাই এবং ইন্টারভিউ পর্ব হয়। মামলাকারীর দাবি, তিনি এমএসসি পাস করেছেন। কিন্তু তাঁকে মেডিক্যাল টেকনোলজিতে এক বছরের ডিপ্লোমা করেছেন এই যোগ্যতা দেখিয়ে ১২ নম্বর দেওয়া হয়। অথচ কিছু বিএসসি পাশ করা প্রার্থীকে ল্যাব টেকনোলজির যোগ্যতা দেখিয়ে ১৫ নম্বর দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে স্যাট। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের দমকল বিভাগেও নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। আর তারপর বুধবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিশন গঠন করে দিল হাইকোর্ট।