Calcutta High Court: রুলিং পার্টি হয়ে গেলেই কি সব মাফ?’ বিধানসভায় ২০০৬-এর ‘চেয়ার ভাঙার’ স্টেটাস জানতে চাইলেন বিচারপতি

Calcutta High Court: মামলা খারিজ করার আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলাতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি।

Calcutta High Court: রুলিং পার্টি হয়ে গেলেই কি সব মাফ?’ বিধানসভায় ২০০৬-এর 'চেয়ার ভাঙার' স্টেটাস জানতে চাইলেন বিচারপতি
মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 4:53 PM

কলকাতা : ‘রুলিং পার্টি হয়ে গেলেই কি সব মাফ? বিধানসভার ভিতরে চেয়ার ভাঙার ঘটনার কী অবস্থা?’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি মামলায় এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। বিধানসভার অন্দরে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর হয়েছিল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। সেই মামলা খারিজ করার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানিতে ২০০৬-এর ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিলেন বিচারপতি। সেই সময় বিরোধী আসনে থাকা তৃণমূলের বিধায়কেরা ভাঙচুর চালিয়েছিলেন বিধানসভায়। সেই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল কি না, সেটাই রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি।

একটি মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দুকে। সেই প্রসঙ্গ এ দিন শুনানিতে উল্লেখ করেন শুভেন্দুর পক্ষের আইনজীবী। এরপরই রাজ্যের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বতী নির্দেশ কেন দেখাচ্ছেন শুভেন্দু? এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘রুলিং পার্টি হলেই কি অগ্রাধিকার? বিধানসভার ভিতরের ঘটনা কেন আদালত দেখবে? রুলিং পার্টি হয়ে গেলেই কি সব মাফ? বিধানসভার ভিতরে চেয়ার ভাঙার কী অবস্থা? তখন আপনারা বিরোধী ছিলেন।’ বিচারপতি উল্লেখ করেন, বিধানসভার চেয়ার মানে সেটাও হেরিটেজের অংশ। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি জানতে চান, তদন্ত হয়েছে কি না। বিচারপতি বলেন, ‘পুলিশ কমিশনারকে ডাকুন। ওনার কাছ থেকে ওই কেসের বর্তমান অবস্থা জেনে নেব। দুপুর দুটোয় জানতে চাই।’

বিধানসভার হয়ে সওয়াল করছিলেন অয়ন ভট্টাচার্য। তাঁকেই এ দিন এ কথাগুলো বলেন বিচারপতি। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী শ্বাসত গোপাল মুখোপাধ্যায়। তাঁকে বিচারপতি বলেন, ‘বিচারপতি হিসেবে নয় সাধারণ মানুষ হিসেবে জানতে চাই কী হল সেই কেসের।’

উল্লেখ্য, বিধানসভায় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, সৌমেন রায়, কৃষ্ণ কল্যাণী সহ একাধিক নেতাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, কাঁথির বাতিস্তম্ভ দুর্নীতি মামলায় অধিকারী পরিবারের সদস্যদের যে নোটিস দেওয়া হয়েছে, সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হল হাইকোর্টে। আগামী শুক্রবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে।