Bengal BJP: দোলের সকালে বিজেপির ‘শুদ্ধিকরণ’, গঙ্গাজলে ধোয়ানো হল মুরলিধর সেন স্ট্রিটের অফিস
Bengal BJP: বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, 'যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসেছিলেন। পরে আবার তাঁরা চলে গিয়েছেন। বিজেপি করা এত সহজ নয়, তা তাঁরা বুঝে গিয়েছেন। বিজেপির যাতে কেউ কোনও ক্ষতি করতে না পারে, তাই আজ গঙ্গাসাগর থেকে জল নিয়ে এসে চৌকাঠ ধুলাম।'
কলকাতা: দোলের (Dolyatra)সকাল থেকে রঙিন মুরলিধর সেন স্ট্রিট। বিজেপির রাজ্য (Bengal BJP) অফিসের সামনে উৎসবের আমেজ। আবির উড়ছে। দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। আর এসবের মধ্যেই দোলযাত্রা উপলক্ষে দলের শুদ্ধিকরণের পথে বিজেপি। মুরলিধর সেন স্ট্রিটে বিজেপির রাজ্য অফিসের মূল দ্বার গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়ানো হল। তার উপর ছড়ানো হল গেরুয়া আবির। গঙ্গাজল ছিটিয়ে স্লোগান উঠল, বিজেপি জিন্দাবাদ। উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনিও। কিন্তু দোলের সকালে কেন এই অভিনব উদ্যোগ বঙ্গ বিজেপির? বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসেছিলেন। পরে আবার তাঁরা চলে গিয়েছেন। বিজেপি করা এত সহজ নয়, তা তাঁরা বুঝে গিয়েছেন। বিজেপির যাতে কেউ কোনও ক্ষতি করতে না পারে, তাই আজ গঙ্গাসাগর থেকে জল নিয়ে এসে চৌকাঠ ধুলাম।’
তাঁর বক্তব্য, উপর তলার নেতারা প্রথমে বুঝতে পারেননি কার মনে কী রয়েছে। তাঁরা সকলকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা দেখতে পেয়েছেন বিগত দিনে কী হয়েছে। নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, বিজেপির একজন পুরনো সৈনিক হিসেবে তিনি এই শুদ্ধিকরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে বিজেপি। সেই উপনির্বাচনের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, বিজেপি ভোটারদের একাংশ কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে হারাতে। এদিকে তৃণমূল শিবির থেকেও বিজেপি-কংগ্রেসের আঁতাতের তত্ত্ব উস্কে দেওয়া হচ্ছে বার বার। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখেও এই ধরনের খোঁচা শোনা গিয়েছে। এমন অবস্থায় দোলের সকালে বিজেপির এই রাজ্য অফিস শুদ্ধিকরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মুরলিধর সেন স্ট্রিটের বিজেপি কার্যালয় এভাবে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণের কতটা প্রভাব পদ্ম শিবিরের অন্দরে পড়ে, সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে অনেক নেতাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোট পরবর্তী সময়ে তাঁদের অনেকেই আবার ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে।