Chetla Agrani Durga Puja: এক কোটি রুদ্রাক্ষ দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ! এবার পুজোয় ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ চেতলা অগ্রণী
Kolkata Durga Puja: মণ্ডপের চূড়ায় দাঁড়িয়ে শাঁখ বাজানোর জন্যও রয়েছেন আলাদা শিল্পী। অন্যদিকে কাঁসর বাজানোর জন্যও করা হয়েছে আলাদা মঞ্চ। তার ভাঁজে ভাঁজে করা হয়েছে দর্শনার্থীদের প্রবেশ পথ। গোটা মণ্ডপজুড়ে রয়েছে শিবলিঙ্কের ছটা।

কলকাতা: টালা প্রত্যয় থেকে সুরুচি সংঘ, উপচে পড়ছে ভিড়। পঞ্চমীর পর ষষ্ঠীতেও সর্বত্রই নেমেছে দর্শনার্থীদের ঢল। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু, ভিড়ে নিরিখে জোর টক্কর দিচ্ছে চেতলা অগ্রণীও। এবার তাদের পুজো পা দিয়েছে ৩৩তম বর্ষে। এবারের থিম অমৃতকুম্ভের সন্ধানে। এক কোটি রুদ্রাক্ষ ব্যবহার হয়েছে গোটা মণ্ডপ তৈরিতে। যা দেখতেই ঢল নামছে মানুষের। মণ্ডপ পা রাখতেই হারিয়ে যাবেন কোনও এক পাহাড়ের কোলে। সর্বত্রই জ্যোর্তিময় দেবাদিদেব মহাদেব! বাজছে শাঁখ, বাজছে কাঁসর।
ভিতরে ঢুকলেই হারিয়ে যাবেন কোনও এক অজানা রাজ্যে

মণ্ডপের চূড়ায় দাঁড়িয়ে শাঁখ বাজানোর জন্যও রয়েছেন আলাদা শিল্পী। অন্যদিকে কাঁসর বাজানোর জন্যও করা হয়েছে আলাদা মঞ্চ। তার ভাঁজে ভাঁজে করা হয়েছে দর্শনার্থীদের প্রবেশ পথ। গোটা মণ্ডপজুড়ে রয়েছে শিবলিঙ্কের ছটা। সঙ্গে চোখ ধাঁধানো আলোর ছটা। মণ্ডপের ভিতরে যে মূল মণ্ডপ রয়েছে তার ভিতরও সেজে উঠেছে নিপুণ শিল্পকলায়। একবার দেখলে মনে হবে কোনও এক প্রাচীণ গুহা. হারিয়ে গিয়েছেন। হারিয়ে গিয়েছেন দেব-দেবীদের কোনও এক অজানা জগতে। আর তারপরেই আপনার চোখ চলে যাবে অপরূপ দেবী মূর্তিতে।

দেবী এখানে ধ্যানমগ্না, শান্ত, যোগীরূপী। ভিতর হোক বা বাইরে সর্বত্রই রয়েছে রুদ্রাক্ষের কাজ। সঙ্গে অভাবনীয় আলোর কাজ। এবার চেতলা অগ্রণী আলাদা করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে সমরেশ বসুর প্রতি। সমরেশ বসু যিনি কালকূট নামে পরিচিত, সেই মহান লেখকের শতবর্ষ এবার। তিনিই লিখেছিলেন অমৃতকুম্ভের সন্ধানে। সেই লেখা থেকেই এবারের মণ্ডব ভাবনা চেতলা অগ্রণীর।
