CM Mamata Banerjee: ‘কোনও বুলডোজার চলবে না’, মন্দারমণির হোটেল ভাঙার নির্দেশ নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার
Mandarmani: প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর CRZ (কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি)-র জেলা কমিটির তরফে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলকাতা: ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিদের কাছে শুধু দিঘা নয়, মন্দারমণিও অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা। এক-দু’দিনের ছুটিতে মন্দারমণি ঘুরে আসেন অনেকেই। তবে সেই মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। হোটেলগুলি বেআইনিভাবে গড়ে ওঠার অভিযোগ তুলে জাতীয় পরিবেশ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছিল। এ দিকে, সেই নির্দেশ আসতেই মাথায় হাত পড়েছে হোটেল মালিকদের। এবার এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নবান্ন সূত্রে খবর, মন্দারমণি এবং তার সংলগ্ন এলাকার যে হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন,তাতে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কোনও আলোচনা-পরামর্শ ছাড়াই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর CRZ (কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি)-র জেলা কমিটির তরফে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে ওই সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি হোটেল নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২২ সালে এই বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। উপকূলবিধি না মেনেই ওই হোটেলগুলি গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। এর মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল, সোনামুইয়ে ৩৬টি, সিলামপুরে ২৭টি। মন্দারমণিতে ৩০টি হোটেল এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজায় একটি লজ ছিল সেই তালিকায়। এ সবই ভাঙা পড়ার কথা পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মতো। কিন্তু তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেওয়ায় জল কোন দিকে গড়ায় তাই দেখার।