Sandeshkhali Bandh: সোমবার ১২ ঘণ্টার সন্দেশখালি বনধ্ ডাকল সিপিএম
Sandeshkhali: শনিবার নিরাপদর গ্রেফতারির পরই দিকে দিকে সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা ফুঁসে ওঠেন। প্রাক্তন বিধায়কের গ্রেফতারির খবর পেয়েই সন্দেশখালির পথে পা বাড়ান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ন্যাজাট ফেরিঘাটের কাছেই।
কলকাতা: সোমবার ১২ ঘণ্টার সন্দেশখালি বনধে্র ডাক দিয়েছে সিপিএম। সন্দেশখালির দু’টি ব্লকে বনধে্র ডাক দিয়েছে তারা। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে রবিবার গ্রেফতার করে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। তারই প্রতিবাদে সোমবার সন্দেশখালি-১ ও সন্দেশখালি-২ ব্লকে ১২ ঘণ্টার বনধ্। রবিবারও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বাম কর্মী সমর্থকরা। যদিও এই ধর্মঘট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে জানান উত্তর ২৪ পরগনার সিপিএম জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী।
রবিবার সকালে নিরাপদ সর্দারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। অভিযোগ, সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কেন এই গ্রেফতারি? সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় শাসকদলের নেতা শিবু হাজরার নাম বারবার বলেছেন গ্রামের লোকেরা। এদিকে সেই ‘ফেরার’ শিবুই নিরাপদ সর্দারের নামে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। আর তার প্রেক্ষিতেই এই গ্রেফতারি বলে খবর। শিবুর অভিযোগ, এই নিরাপদর নেতৃত্বেই সন্দেশখালিতে হামলা চলেছে। যদিও সিপিএমের দাবি, ঘটনার দিন নিরাপদ ছিলেন দলীয় বৈঠকে। তাই এই অভিযোগের কোনও সারবত্তাই নেই।
এদিন নিরাপদর গ্রেফতারির পরই দিকে দিকে সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা ফুঁসে ওঠেন। প্রাক্তন বিধায়কের গ্রেফতারির খবর পেয়েই সন্দেশখালির পথে পা বাড়ান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ন্যাজাট ফেরিঘাটের কাছেই।
সকাল ১০টা ৫০। ন্যাজাট ফেরিঘাট থেকে ফেরি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এদিকে এই পথেই সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল মীনাক্ষীদের। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর শুরু হয় ফেরি পরিষেবা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মীনাক্ষী। বলেন, “আমাদের জন্য যদি আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হয়, ৪ জন থাকব।” এ নিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
জেলাতেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে রবিবার। নিরাপদ সর্দারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জলপাইগুড়িতে প্রতিবাদ মিছিল করে সিপিএম। রবিবার সন্ধ্যায় জেলা পার্টি অফিসের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে জলপাইগুড়ি শহর পরিক্রমা করে। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে একই দাবিতে পথ অবরোধ করে সিপিএম। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বচসার সৃষ্টি হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক এই পথ অবরোধ চলে। সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বাঁশদ্রোণীর বাড়ির থেকে নিরাপদ সর্দারকে যেভাবে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করেছে, নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানান। বর্ধমান শহরের ম্যান্ডেলা পার্ক থেকেও এদিন প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। বিসি রোডে পরিক্রমা করে। এরপর বর্ধমান থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
সিপিএমের যুব সংগঠন ও সিপিএম বিভিন্ন সংগঠনের তরফে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল বেরোয়। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সিপিএম কর্মীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাজ্য সড়ক। বহরমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।