Nabanna: বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন সুকান্ত, সেই আধিকারিককে এবার কমপালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠাল নবান্ন
Nabanna: কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর থেকে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত তাঁকে শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরে কমপালসরি ওয়েটিং-এ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, এই শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এর আগে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব সামলানো শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে কমপালসরি ওয়েটিং-এ পাঠানো রাজ্য। সোমবারই নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর থেকে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত তাঁকে শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরে কমপালসরি ওয়েটিং-এ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, এই শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এর আগে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় আগে হরিরামপুরের বিডিও ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্বে আসেন। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন, হরিরামপুরের ওই প্রাক্তন বিডিও তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে হুমকি দিয়েছিলেন। এবারের পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী সময়ে এই অভিযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিজেপি সাংসদ।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি ছিল, ওই প্রাক্তন বিডিও মণিপুরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে হুমকি দিয়েছেন। সেই সময় একটি চ্যাটও প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল, “আপনারা হারলে কিন্তু আপনাদেরও পরনের কাপড় থাকবে না। সমবেদনা রইল আগে ভাগে।” শুধু তাই নয়, ‘খারাপ সময় আসছে’ বলে সমবেদনা জানানো হয়েছিল বলেও দাবি করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। গত ৩০ জুলাই এই অভিযোগ তুলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও চিঠিও লিখবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী সময়ে এই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর এবার শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কমপালসরি ওয়েটিং-এ পাঠানো হল। যদিও প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হচ্ছে, পুরোটাই প্রশাসানিক রুটিন এবং এর সঙ্গে অতীতের ঘটনাক্রমের কোনও যোগ নেই।