Kunal Ghosh : সুকান্ত-দিলীপের লড়াইয়েই খুন হয়েছে ভগবানপুরে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উসকে দিলেন কুণাল

Kunal Ghosh alleges BJP: বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের লড়াই চলছে। তার থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। মন্তব্য কুণাল ঘোষের।

Kunal Ghosh : সুকান্ত-দিলীপের লড়াইয়েই খুন হয়েছে ভগবানপুরে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উসকে দিলেন কুণাল
সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2021 | 3:48 PM

কলকাতা: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর এখনও চলছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবির জড়িত। সিবিআই তদন্তের আর্জিও করছে বঙ্গ বিজেপি। তবে শাসক দলের বক্তব্য, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। বরং এটিকে বিজেপিরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করছে তৃণমূল।

আজ দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “ভগবানপুরে বিজেপি কর্মী খুনে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়। ওটা ওদেরই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।” তাঁর আরও বক্তব্য, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের লড়াই চলছে। তার থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

ভাইফোঁটার দিন খুন হন চন্দন মাইতি। জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের যুব নেতা ছিলেন। ওইদিন সকালে দেড়িয়া দিঘি এলাকার নান্টু প্রধান কলেজের কাছে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। বিজেপির অভিযোগ, চন্দনকে রাস্তা থেকেই তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁরাই প্রথমে পেটানোর পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ওই বিজেপি কর্মীকে।

একইসঙ্গে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতেও তৃণমূলকে যে বারবার আক্রান্ত হতে হচ্ছে, তা নিয়েও আজ ফের একবার সরব হলেন কুণাল ঘোষ। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সামনেই তাঁর দলীয় নেতা তথা বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের একটি বক্তব্য সম্প্রতি তোলপাড় হয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতি। বিজেপি নেতা বলেছিলেন, তৃণমূল দেখলেই তাড়া করুন। আর এই নিয়েই আজ বিপ্লব দেবের সরকার ফের একহাত নিলেন কুণাল। বললেন, “ত্রিপুরায় বলা হচ্ছে, তৃণমূলে দেখলে তাড়া করুন। এটা আদালতের রায়ের অবমাননা।” একইসঙ্গে ত্রিপুরা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল। বলেন, “গোটা বিষয়টি আদালতে জানানো হবে। সুপ্রিম কোর্টে জানানো হবে। শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”

উল্লেখ্য, সামনেই ত্রিপুরায় পুর নির্বাচন। আর তার আগে আদালতের রায়ে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিপ্লব দেবের প্রশাসন। তৃণমূলের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুর নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সব প্রার্থীকেই নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কোনও প্রার্থী যাতে প্রচারে বাধা না পায় সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত। ত্রিপুরাতে পুর নির্বাচনের মুখে বারবার দলের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে এই মর্মে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই রায় জানিয়েছে আদালত।

কিন্তু এরই মধ্যে বার বার বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছে তৃণমূল শিবির। গতরাতেই তেলিয়ামুড়ার এক হোটেলে বিজেপির বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা এবং খোকন দাস। তেলিয়ামুড়ার ওই হোটেলেই থাকার কথা ছিল তৃণমূলের অবজার্ভার খোকন দাস এবং অভিজিৎ সিনহার। গত সন্ধ্যায় বিজেপির বাইক বাহিনী হোটেলে গিয়ে, হোটেলের মালিক এবং তার বৌ ও মেয়েদের হুমকি দিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ। যাতে তাঁরা কোনওমতেই তৃণমূলের নেতাদের তাঁদের হোটেলে থাকতে না দেয়।

আরও পড়ুন : BJP: ভগবানপুরে দলীয় কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি, ১০ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক বিজেপির