Na Bollei Noy: এই দলবদলের যুগে রাজনীতিতে কি মানুষ আর আগের মতো বিশ্বাস করে? যে কথা ‘না বললেই নয়’
Na Bollei Noy: রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়েছে। যাত্রা নাকি যাত্রাপালা? যে কথা ‘না বললেই নয়’ ।
কলকাতা: রাজনীতিতে (Politics) এখন যাত্রার মরশুমও চলছে। চিত্পুরের যাত্রা পালা নয়। রাজনীতির যাত্রা। সেই কবে পথ দেখিয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী (Lalkrishna Advani)। তারপর বিরোধী রাজনীতিতে জনসংযোগের মাধ্যমই হয়ে উঠেছে যাত্রা। রাহুল থেকে কেজরিওয়াল, নীতীশ থেকে চন্দ্রশেখর রাও। সকলেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন। অথবা নামার কথা ভাবছেন। হাঁটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। মেদ ঝরে। তাতে নাহয় নেতাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। কিন্তু, যাঁদের জন্য হাঁটা, তাঁদের কী উপকার হবে? মানে আমার, আপনার।আমনজতার কথা বলছি। এত হাঁটাহাঁটি, এত খাটাখাটি। কার জন্য? কীসের জন্য? নেতারা বলছেন দেশের জন্য। দেশবাসীর জন্য? বলাকওয়া আর ভাবার মধ্যে কোনও ফাঁক নেই তো? এমন আশঙ্কা যদি আম জনতার মধ্যে জাগে, তাঁদের কি দোষ দেওয়া যায়?
কন্যাকুমারী থেকে রাহুল গান্ধী হাঁটা শুরু করেছেন। যাবেন কাশ্মীর পর্যন্ত। যদিও লক্ষ্য দিল্লি। কেজরিওয়াল আবার হরিয়ানার হিসার থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। নীতীশ কুমার দিল্লির পথঘাটে হাঁটাহাঁটি করে আপাতত জিরোচ্ছেন। সকলকে রাস্তায় নামিয়েছেন কে? কেউই তাঁর নাম স্বীকার করবেন না। কিন্তু, ব্যক্তিটির নাম নিঃসন্দেহে প্রশান্ত কিশোর। ভোট কুশলী। কংগ্রেসের সঙ্গে কথাবার্তা চলার সময় প্রশান্ত কিশোর যে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন তাতে পদযাত্রার প্রেসক্রিপশন ছিল। পিকেকে নেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু, তার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট শুরু করে দিয়েছে। রাহুল গান্ধীর হাঁটতে অসুবিধা নেই। তিনি সোত্সাহে নেমে পড়েছেন। এদিকে পিকের পরামর্শ বাকিরাও অগ্রাহ্য করেন কী করে? গত আট বছরে যেখানে যেখানে, মোদী ঝড় ধাক্কা খেয়েছে, সব জায়গাতেই ছিলেন পিকে। সেই পিকে যখন জনসংযোগে যাত্রা করার কথা বলেছেন, তাতো ফেলে দেওয়া যায় না। তাই যাত্রাশুভ বা যাত্রানাস্তি। পাঁজিতে যাই লেখা থাকুক না কেন, সকলে হাঁটছেন। রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়েছে। যাত্রা নাকি যাত্রাপালা?
নীতীশের সততায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল কী মজবেন? দিল্লি ও পঞ্জাবে সরকার যাঁর, তাঁকে বিরোধী ঐক্যে টানার চেষ্টা নিশ্চয়ই হবে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপির বিরুদ্ধে যুঝছেন। এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু, বিরোধী মিটিংগুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গোলটেবিল বৈঠক ডাকলেন। কেজরিওয়াল তাতে যোগ দেননি। আবার ওই বৈঠকের পথ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বিরোধীদের দূরত্ব বেড়েছে। মমতা কি বিরোধী ঐক্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন? দিল্লি আর বাংলা কি পরস্পরের দিকে আড়চোখে চেয়ে আছে?
আচ্ছা রাজনীতিতে কি মানুষ আর আগের মতো বিশ্বাস করে? আমাদের দেশ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় চলে, তাই আমরা ভোট দিই। কিন্তু, এই দলবদলের যুগে বিশ্বাস বলতে যা বোঝায়, তা কি করি? রাজনীতিতে ভুয়ো মানুষ অনেক দেখেছি। কিন্তু, আস্ত রাজনৈতিক দলই ভুয়ো। তাও হয় নাকি? জানেন কি কেন অমিত শাহ দলের বৈঠকে মেজাজ হারিয়েছিলেন বলে খবর? কাদের ধমক দিতে হয় তাঁকে? এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময়টা জানেন তো? রাত ৮.৫৭। টিভি নাইন বাংলায় দেখবেন ‘না বললেই নয়’।