‘ই-চালান’ অ্যাপ চালু হল পশ্চিমবঙ্গে, আসছে ‘ই কোর্ট’-ও! জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে…
E Chaalan: সাধারণ মানুষও এই অ্যাপের মাধ্যমে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন। মূলত যারা দুই বা চার চাকার গাড়ি চালান, তাঁদের ঝক্কি কমবে অনেকটাই।
সুজয় পাল: দেশের ২৬ টি রাজ্যে চালু হয়েছিল আগেই। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গেও চালু হল কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি ‘ই-চালান’ অ্যাপ। আপাতত কলকাতা পুলিশ পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি চালু করেছে। এই অ্যাপের ব্যবহার প্রধানত পুলিশ প্রশাসনই করে থাকে। তবে সাধারণ মানুষও এই অ্যাপের মাধ্যমে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন। মূলত যারা দুই বা চার চাকার গাড়ি চালান, তাঁদের ঝক্কি কমবে অনেকটাই।
কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে? রইল একনজরে ৬ টি পয়েন্ট…
১) কেউ ট্রাফিক আইন ভাঙলে সব ধরনের মামলা এই অ্যাপের মাধ্যমেই করতে পারবে ট্রাফিক পুলিশ। সিগন্যাল ভাঙলে স্পট ফাইন, নো পার্কিংয়ে গাড়ি রাখা, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, সব কেস করা যাবে এতে।
২) খুব শীঘ্রই এই অ্যাপের সঙ্গে কার্ড সোয়াইপ মেশিন ও ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবস্থা যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। সেই ব্যবস্থা চালু হলে ফাইন দেওয়ার জন্য কোনও ঝামেলা পোহাতে হবে না সাধারণ মানুষকে।
৩) সম্পূর্ণভাবে জিপিএস নির্ভর প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই মোবাইল অ্যাপটি। ফলে যিনি নিয়ম ভাঙবেন, তিনি কোথায় কখন আইন ভঙ্গ করছেন, তা জানিয়ে দেবে এই অ্যাপ। স্থান-কালের তথ্য দিয়েই কেস রেজিস্টার হবে।
৪) এই অ্যাপে রয়েছে সারা দেশে সব গাড়ির ডেটাবেস। ‘বাহন’ ও ‘সারথী’ অ্যাপ যুক্ত থাকবে ‘ই-চালান’ অ্যাপের সঙ্গে। ফলে সারা দেশের যে কোনও গাড়ি সংক্রান্ত সব তথ্য মুহুর্তের মধ্যে পেয়ে যাবেন সার্জেন্টরা। কোন গাড়ির বিরুদ্ধে কোথায় কোথায় কতগুলি অভিযোগ আছে, তা নিমেষে পাওয়া যাবে।
৫) ট্রাফিক আইন ভাঙলে গাড়িচালক কিংবা গাড়ির কোনও নথি বাজেয়াপ্ত করতে হবে না। শুধু নম্বর দিয়ে এই সমস্ত তথ্য পেয়ে যাওয়া যাবে। ‘ডিজি লকার’-এ গাড়ির কাগজ থাকলে ডিজিটাল সিজার করবেন সার্জেন্টরা। পরে ফাইন দিয়ে নথি ছাড়ানো যাবে। ফলে গাড়িচালক কিংবা মালিককে নথি ছাড়ানোর জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
৬) খুব শীঘ্রই এই অ্যাপে যুক্ত করা হবে ‘ই-কোর্ট’-এর সুবিধা। এর মাধ্যমে যেসব কেস আদালতে গড়িয়েছে তা, মোবাইলেই মেটানো যাবে। গাড়ি মালিককে আদালত পর্যন্ত যেতে হবে না। শুধুমাত্র এই অ্যাপের মাধ্যমে জরিমানার টাকা দিয়ে দিলেই হবে। জরিমানা দিলেই ডিজিটালি জমা করা কাগজ ছেড়ে দেওয়া হবে। নথি ছেড়ে দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: এরকম সুযোগ আর কেউ দেবে না, মোদী সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরব: জওহর সরকার