E Nuggets Scam: কর্মী নেই এক জনও, ঝা চকচকে অফিসে এমনিই চলছে ল্যাপটপ! আমিরের সল্টলেকের অফিসের প্রযুক্তিতে চক্ষুচড়কগাছ তদন্তকারীদের
E Nuggets Scam: ল্যাপটপ, কম্পিউটার সবই থাকত সচল। কাজ হতে বাইরে থেকেই। এই অফিস থেকেই কম্পিউটার, সিম, ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার করেছে লালবাজার।
কলকাতা: গার্ডেনরিচ ই-নাগেটস অ্যাপ ‘প্রতারণা’ তদন্তে আরও বিস্ফোরক তথ্য। বাইরে থেকে ভার্চুয়ালি একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন। এমনকি সল্টলেক সেক্টর ফাইভের এক অফিসে হানা দিয়ে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। অফিসে থাকতেন না কোনও কর্মী। অথচ ল্যাপটপ, কম্পিউটার সবই থাকত সচল। কাজ হতে বাইরে থেকেই। এই অফিস থেকেই কম্পিউটার, সিম, ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার করেছে লালবাজার।
বাড়িতে খাটের তলায় টাকার স্তূপ। নগদ প্রায় ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ। এখানেই কী শেষ। না, আমির খানের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আরও কোটি কোটি টাকার হদিশ। সব মিলিয়ে টাকার পাহাড়। গেমিং অ্যাপের আড়ালে বড়সড় প্রতারণার সাম্রাজ্য তৈরি করেছিল গার্ডেনরিচের আমির খান। সেই সাম্রাজে হানা দিতেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য।
সল্টলেকে বুধবার সন্ধ্যায় এক অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস। ভিতরে চলছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ। কিন্তু কোথায় কর্মীরা? না। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও অফিসে কোনও কর্মীর খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা। সবদিক খতিয়ে দেখে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, প্রতারণার হাইটেক-জাল। অটোমেটিক সিস্টেমে চলছিল গোটা অফিস। বিদেশ থেকে রিমোটে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছিল যাবতীয় কাজ সবটাই হচ্ছিল হাইটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে।
কীভাবে এই কাজ হচ্ছিল?
দেখা যায়, অফিসের সার্ভার রুমে রয়েছে একাধিক সিমবক্স। এই সিমগুলির সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক রয়েছে। অটোমেটিক এখানে ওটিপি তৈরি হচ্ছে। এরপর সেই ওটিপি পৌঁছে যাচ্ছে সিস্টেমে। ল্যাপটপে কুইক সাপোর্ট এনি ডেস্ক টিম ভইয়ার সফটওয়ার রয়েছে। এর মাধ্যমেই বাইরে থেকে রিমোটে ব্যাঙ্কিং ট্রানজাকশন হচ্ছে। মানে চোখের নিমেষে টাকা গায়েব!
বুধবার কয়েক ঘণ্টার তল্লাশিতে অফিসের সার্ভার রুম থেকে উদ্ধার হয়,১,৯৫২টি সিমকার্ড, ৩ হাজারের বেশি ডেবিট কার্ড, চেক বই সহ ৪৮৩ ব্যাঙ্ক কিট। উদ্ধার হয়েছে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি, বাজেয়াপ্ত হয়েছে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ।