কালীঘাট-সহ শহরতলির একাংশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়, কারেন্ট আসবে কখন? জানাল সিইএসসি
জলমগ্ন এলাকাগুলিতে যাতে কোনও ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতেই বিদ্যুর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিইএসসি।
কলকাতা: রাজ্যের বুকে আমফানের মতো তাণ্ডব চালায়নি ইয়াস। তবে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছে। জলমগ্ন হয়েছে কলকাতা-সহ হাওড়ার বেশ কিছু এলাকা। যার জেরে বন্ধ রাখতে হয়েছে একাধিক জায়গার বিদ্যুৎ পরিষেবা। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে যাতে কোনও ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতেই বিদ্যুর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিইএসসি। বুধবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানানো হয়।
গত বছর আমফান পরবর্তী সময়ে গোটা শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়েছিল। বেশ কয়েকদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়াই কাটাতে হয়েছিল শহরের বাসিন্দাদের একাংশের। এ বারও যাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েছিল সিইএসসি। যার সুফলও মেলে। কিন্তু কলকাতার ভৌগলিক অবস্থানের কারণে জল জমার মতো ঘটনা এড়ানো যায়নি। সিইএসসি-র তরফে জানানো হয়, আন্দুল-সহ বজবজের মতো এলাকায় জল উঠেছে। সেই কারণে ওই এলাকাগুলির বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। জল নামলে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা ৩০ ঘণ্টা নবান্নে কাটিয়ে অবশেষে কালীঘাট ফিরলেন মমতা
এর পাশাপাশি জল জমেছে কলকাতার কালীঘাট এবং রাসবিহারীর মতো এলাকায়। যে কারণে সেখানকার বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। যেহেতু আজ রাতে এবং আগামিকাল সকালে ভরা কোটালের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এরপরের পরিস্থিতি দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কখন সংযোগ ফেরানো যায়। এ বাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। গোটা সময়ে কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে বিদ্যুৎ পরিষেবায় কোনও সমস্যা হয়নি বলেই জানিয়েছে সিইএসসি।
আরও পড়ুন: প্রথমে যাবেন সাগরে, এরপর পূর্ব মেদিনীপুরে, ইয়াসের বিপর্যয় বুঝতে লাগাতার বৈঠক মমতার