কলকাতা: ভোট লুঠ হলে, সন্ত্রাস হলে প্রতিরোধ হবে। বারবার করে বলেছিলেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও কথা বলেছিলেন তিনি। বারবার সংবাদমাধ্যমে উপভোটে লুঠের কথা বলেছেন। কিন্তু প্রতিরোধের ছবি সে অর্থে ধরা পড়েনি বলেই চর্চা রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে। এমনকি, গত ৪৮ ঘণ্টায় কোথাও কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচির ছবিও ধরা পড়েনি।
ভোট লুঠের কথা বারবার বলছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু পুনর্নির্বাচনের দাবিও করেননি তাঁরা। দলের নেতাদের কারও কারও মতে, সাংগঠনিক দুর্বলতায় হয়তো প্রতিরোধ করা যায়নি। কিন্তু পুনর্নির্বাচনের দাবি করলে তো সেই তথ্যকে প্রতিষ্ঠা অনেকাংশেই সহজ হত। কেন করা হল না দলের অন্দরে আলোচনা হওয়া উচিত। তবে কি শুধুমাত্র মৌখিক লড়াইয়ে থাকার কথা বলছেন দলীয় নেতৃত্ব? প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই।
অন্যদিকে, দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার ক্ষেত্রে উঠে আসছে সদস্যতা অভিযানের ক্ষেত্রে এখনও অনেকাংশে ঘাটতিই চোখে পড়ছে। তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। সাযুজ্য রেখেই হয়তো ক্ষুব্ধ বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক তথ্য সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশাল। দলীয় বৈঠকে বনশাল বলেছেন, যোগ্যতার থেকে ব্যক্তিগত পছন্দ পদ বাছাইয়ে গুরুত্ব পেয়েছে। সে কারণেই গতি পাচ্ছে না সদস্যতা অভিযান।
এমনকি, যে জেলায় সদস্যতা অভিযানে আশানুরূপ সাফল্য আসছে না, গা ছাড়া মনোভাব রয়েছে নেতৃত্বের মধ্যে, সেখানে জেলা সভাপতিদের সঙ্গে নিজে কথা বলতে চান বনশাল। যদি জেলা নেতৃত্ব সঠিকভাবে সদস্যতা অভিযানে কাজ না করেন, প্রয়োজনে তাঁকে সরিয়ে দিতে হবে বলেও স্পষ্ট বার্তা বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের। এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)