Fire at Kolkata: বহুতলের বন্ধ অফিস থেকে কালো ধোঁয়া, দমকলের ৩ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
Fire breaks out at Kolkata: ধোয়াঁর ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, কালো ধোঁয়ার পাশাপাশি আগুনের শিখায় বেরোতে দেখা গিয়েছে কখনও কখনও।
কলকাতা: ফের আগুন কলকাতায়। প্যারাডাইস সিনেমা হলের কাছে ৩০ নম্বর বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে আগুন। আজ রাত ৯ টা নাগাদ এক বহুতলের বন্ধ অফিস থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ধোয়াঁর ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, কালো ধোঁয়ার পাশাপাশি আগুনের শিখায় বেরোতে দেখা গিয়েছে কখনও কখনও। দুর্ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। শেষ পর্যন্ত দমকলের তিন ইঞ্জিনের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বহুতলের চারতলায় একটি এসিতে আগুন লেগেছিল বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা। ওই এসিটির আগুনের কালো ধোঁয়াই বাইরে বেরোতে দেখা গিয়েছিল। তবে ঠিক কীভাবে সেখানে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় দমকল কর্মীদের কাছে। ওই বহুতলটিতে একাধিক সংস্থার অফিস রয়েছে। ফলে যে কোনও সময়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, চারতলায় যে অফিসটির এসিতে আগুন লেগেছিল, সেটি কোনও বাদ্যযন্ত্র বিক্রয়কারী সংস্থার অফিস। ওই সংস্থার অ্যাকাউন্টস দেখাশোনা করা হত এই অফিসে। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা যখন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান তখন অফিসটি বন্ধ ছিল। বাইরে চারিদিকে তখন ধোঁয়ায় ভরতি। অফিসের তালা কেটে, দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন দমকলের কর্মীরা।
তবে দমকলের কর্মীদের তৎপরতায় আগুন ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো গিয়েছে। চারতলার ওই অফিসের এসি ছাড়া আর কোথায় আগুন ছড়ায়নি বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা। কিন্তু বন্ধ অফিসে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
দমকল কর্মীরা সময়ে মতো ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারত। কারণ, অফিসের ওই ঘরের ভিতরে আরও বেশ কিছু কম্পিউটার, ল্যাপটপ, কাগজ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র ছিল। ফলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে, এসির আগুন আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারত বলে আশঙ্কা অনেকের।
একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে ওই অফিসে বা ওই বহুতলে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা কেমন ছিল তা নিয়েও। যদিও এই নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না দমকল কর্মীরা। গোটা বিষয়টি পরে আরও তদন্ত করে তারপরেই আগুন লাগার কারণ এবং ওই অফিসে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা কেমন ছিল, তা জানা যাবে বলে জানাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
কলুটোলা স্ট্রিটের অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার ক্ষত এখনও ভীষণ দগদগে। দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। কিন্তু তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। গোটা বহুতলটিকে গ্রাস করেছিল আগুনের লেলিহান শিখা। সেই আতঙ্কের স্মৃতি উস্কে দিয়ে আজ আবারও আগুন কলকাতার বহুতলে। তবে স্বস্তি একটাই যে আগুন ভয়াবহ আকার নেওয়ার আগেই দমকল কর্মীদের তৎপরতায় তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন : Kolkata Fire: সাত ঘণ্টা পরও দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে কলুটোলা স্ট্রিটের বহুতল, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন