Firhad Hakim: ‘একটা সময় আমাদের সকলের কাছে বাড়ি-গাড়ি থাকবে…’, হঠাৎ কেন এমন বললেন ফিরহাদ?
Careers Education Fair 2023: বস্তুত, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে। তার মধ্যে কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সহ একাধিক প্রকল্প রয়েছে।
কলকাতা: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হচ্ছে ‘ক্যারিয়ার এডুকেশন ফেয়ার ২৩’। ২৬ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত চলবে এই মেলা। উপস্থিত রয়েছেন গুণীজন। রয়েছেন পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। আগামী প্রজন্মকে পেশা নির্বাচন করতে সঠিক দিশা দেখাবে এই মেলা। ‘এডুকেশন ফেয়ার ২৩’-এর প্রধান আয়োজক দীপক সিংহ রায়। এ দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে এই মেলায়।
বস্তুত, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে। তার মধ্যে কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সহ একাধিক প্রকল্প রয়েছে। এছাড়াও করোনাকালে উচ্চ-মাধ্যমিক পড়ুয়াদের পড়াশোনা করার সুবিধার্থে ট্যাবলয়েডও দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে।
রবিবার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাংলা মিডিয়ামের সরকারি স্কুলে যিনি পড়াতেন দেখা যাচ্ছে তিনিই নিজের সন্তানকে সাউথ পয়েন্টে পড়াচ্ছেন। আবার যিনি সাউথ পয়েন্টে পড়াতেন তিনি আবার তাঁর সন্তানকে সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াচ্ছেন। তাই আমাদেরও এই চিন্তাভাবনা করা উচিত। আমাদের বাড়ির আয়া যদি তাঁর মেয়েকে নার্স তৈরি করেন। দেখা যাবে তিনি আবার তাঁর সন্তানকে ডাক্তারি পড়াবেন। এইভাবে সমাজকে তুলে আনতে পারব। সমাজতন্ত্র মানে এই নয়,কম্পিউটার তুলে দাও। কম্পিউটার শিক্ষা না দাও। এইভাবে প্রতিটি মানুষকে উপরে তুলে আনতে হবে। এইভাবে যদি এগোতে থাকি আমাদের প্রত্যেকের কাছে গাড়ি থাকবে, বাড়ি থাকবে। আমরা তখন কেউ নিজেকে বলতে পারব না আমি অবহেলিত। এটা একটা আন্দোলন।
অপরদিকে, মন্ত্রী শোভন দেব বলেন, “আজকে পড়ার জন্য বাংলার বাইরে যেতে হয় না। একসময় আমার ছেলেমেয়েকে বিবিএ পড়াতে বেঙ্গালুরু পাঠিয়েছিলাম। আজকে কত কোর্স তৈরি হয়েছে। আমাদের সময় বলত ছেলে মেয়ে স্নাতক না হলে পড়াশোনাই হত না। আমি তো পলিটেকনিকে যেতে চেয়েছিলাম। তবে বাবা বলল স্নাতক হতে হবে। তাই পলিটেকনিক পড়া হয়নি। এখন আর সেই যুগ নেই। যে যা পড়তে চায় সে সেই সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্ম, শিল্পের উপর। তাই আগামী প্রজন্মের শিক্ষার ক্ষেত্রে এই দিশা অন্য মাত্রা এনে দেবে।”