অরবিন্দকে খুন করেছিল গুঞ্জনরাই, ১৬ বছর বাদে দোষী সাব্যস্ত রোমা ঝাওয়ার অপহরণ-কাণ্ডের মূল পাণ্ডা
Roma Jhawar kidnapping: ব্যবসায়ীর মেয়ে রোমাকে অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছিল অভিযুক্তরা। সেই টাকা ভাগ করা নিয়ে বচসার জেরেই খুন করা হয় অরবিন্দ প্রসাদকে।
কলকাতা: অরবিন্দ প্রসাদ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল গুঞ্জন ঘোষ সহ মোট ৪ জন। ১৬ বছর আগের এই খুনের মামলার তদন্ত করছিল সিআইডি। আজ সেই মামলার অভিযুক্তদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। সেই মামলার শুনানিতেই চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবেন বিচারপতি। খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও আদতে রোমা ঝাওয়ার অপহরণ-কাণ্ডের সঙ্গে যোগ ছিল এদের। আর সেই অপহরণে মুক্তিপণের পাওয়া টাকা ভাগ করতে গিয়েই অরিবন্দ প্রসাদ নামে দলেরই এক সদস্যকে খুন করে গুঞ্জন সহ চারজন। গ্রেফতার করার পরই জানা যায় আসল সত্যি।অবশেষে এত বছর বাদে সেই ঘটনার বিচার হল।
আজ যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তারা হল গুঞ্জন ঘোষ, মুন্না সিংহ, মুকেশ সিংহ ও গুড্ডু যাদব। পাপ্পু নামে আরও এক অভিযুক্ত পলাতক। মোট চারটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এই চারজনকে। ৩০২ অর্থাৎ খুনের মামলা, ২০১ অর্থাৎ প্রমাণ লোপাট, ৩৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ একই উদ্দেশ্য নিয়ে করা অপরাধ ও ২৫ ও ২৭ নম্বর ধারা অর্থাৎ অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এদের। সরকারি আইনজীবী প্রত্যেকের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন করেছেন। এদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। আলিপুর আদালতের বিচারক শেখ কামালউদ্দিন আগামী সোমবার এই সাজা ঘোষণা করবেন।
ঠিক কী হয়েছিল ১৬ বছর আগে?
২০০৫ সালে রোমা ঝাওয়ার নামে এক ব্যবসায়ীর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। রোমাকে মুক্ত করার জন্য ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার কথা ছিল অপহরণকারীদের। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বচসার জেরেই দলেরই সদস্য অরবিন্দ প্রসাদকে খুন করা হয়।
পরে গুঞ্জন ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে জেরা করে জানা যায়, তারা ৪ জন মিলে অরবিন্দ প্রসাদকে গুলি করে খুন করে। শুধু তাই নয় প্রমাণ লোপাট করার জন্য দেহ ফেলে দেয় তিলজলা এলাকার একটি ঝিলের ধারে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে চালানো হলেও অপহরণের ঘটনায় গুঞ্জন গ্রেফতার হওয়ার পর সামনে আসে খুনের তত্ত্ব। এই ঘটনায় এফআইআর হয়েছিল তৎকালীন রাজ্য পুলিশের অধীনে থাকা তিলজলা থানায়। আইপিএস রাজীব কুমার নিজে তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে ক’টি অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেগুলি সবই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারক। সবাইকে গ্রেফাতার করা গেলেও পাপ্পু নামে আর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি এখনও।
আরও পড়ুন: ইউ-টার্ন মারতে গিয়ে হলুদ ট্যাক্সিতে সজোরে ধাক্কা! মন্ত্রীর কনভয়ে দুর্ঘটনা, হাসপাতালে চালক