Jyotipriya Mallick: কেন মাথা ঘুরছে বালুর? চিকিৎসকদের দেওয়া এমন টেস্ট SSKM-ও হয় না
Jyotipriya Mallick: এর আগে সুজয় কৃষ্ণর হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ে 'স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউসন স্ক্যান' পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড। সরকারি পরিকাঠামোয় এই পরীক্ষা না হওয়ায় তা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করাতে হয়। এবার বনমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও তৈরি হল একই পরিস্থিতি।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের মতো এবার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রেও বেসরকারি হাসপাতালের মুখাপেক্ষী এসএসকেএম (SSKM)। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মাথা ঘোরার কারণ জানতে ‘হেড আপ টিলট টেবল টেস্ট’ পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। সূত্রের খবর, এই পরীক্ষা এসএসকেএম তো বটেই, রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালে করার সুযোগ নেই। সেই কারণে এই পরীক্ষার জন্য শহরের তিন বেসরকারি হাসপাতালের মুখাপেক্ষী এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এর আগে সুজয় কৃষ্ণর হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ে ‘স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউসন স্ক্যান’ পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড। সরকারি পরিকাঠামোয় এই পরীক্ষা না হওয়ায় তা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করাতে হয়। এবার বনমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও তৈরি হল একই পরিস্থিতি।
‘হেড আপ টিল্ট টেবিল টেস্ট’ কী?
এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিটের পরীক্ষা এটি। বিভিন্ন অ্যাঙ্গলে রোগীকে দাঁড় করিয়ে, শুইয়ে এই পরীক্ষা করানো হয়। কত ডিগ্রিতে কতক্ষণ রোগীকে দাঁড় করানো যায়, তার একটা নির্দিষ্ট সময় সীমা রয়েছে। তবে যে অ্যাঙ্গলেই রোগীকে রাখা হোক না কেন, মাথা সোজা থাকবে এই পরীক্ষা করার সময়। রোগীর মূর্ছা যাওয়ার কারণ জানতে তাঁর হৃদস্পন্দনের হার, হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ছন্দ, রক্তপ্রবাহ, রক্তচাপের মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য এই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর মন্ত্রীকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। সেই নির্দেশ শুনে মাথা ঘুরে পড়ে যান জ্যোতিপ্রিয়। জ্ঞান হারান। তখনই চিকিৎসকরা এই পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, বালু,’কাকু’ দু’জনেই দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন। দু’জনেই বিচারাধীন বন্দি। এসএসকেএমে কার্ডিওলজি বিভাগের একই তলায় ভিন্ন কেবিনে চিকিৎসাধীন ‘কাকু’,বালু। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এসি এক নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। বালু রয়েছেন এসি কেবিন নম্বর চারে। এই মিলগুলোর পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনগুলোও কেমন মিলেমিশে একাকার। নিছকই ঘটনাচক্র প্রশ্ন উঠছে।